1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:১৬ অপরাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

“অবসর সুবিধা ও কল্যাণ তহবিল নয়,পেনশন ব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান”

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮৫৬ Time View
"অবসর সুবিধা ও কল্যাণ তহবিল নয়, পেনশন ব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান"

বর্তমানে বাংলাদেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীরা অবসরকালীন সুবিধা হিসেবে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এককালীন অর্থ পেয়ে থাকেন। তবে এই ব্যবস্থায় নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা থাকায়, অনেক শিক্ষক অবসরের পরও বছরের পর বছর তাদের প্রাপ্য অর্থের জন্য অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে, সরকারিভাবে পেনশন চালু করার দাবি সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান অবস্থা ও সমস্যাঃ

  1. দীর্ঘসূত্রতা ও অনিশ্চয়তা: অবসর ও কল্যাণ সুবিধা পেতে অনেক শিক্ষককে ৩-৪ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বর্তমানে প্রায় ৭৪,০০০ আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে।
  2. তহবিল ঘাটতি: অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের বার্ষিক আয়ের তুলনায় প্রয়োজনীয় অর্থের ঘাটতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বছরে প্রায় ৫০-৫৫ কোটি টাকা আয় হলেও, শিক্ষকদের দাবিকৃত অবসর ভাতা পরিশোধে প্রয়োজন ৪৪৪ কোটি টাকা।
  3. দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জটিলতা: অর্থ প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে, যা শিক্ষকদের জন্য অতিরিক্ত হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  4. তহবিল ঘাটতির বিষয়ে আরও একটি বিষয়ের গুঞ্জন রয়েছে বিগত সরকারের আমলে কল্যাণ ও অবসর ফান্ডের যাবতীয় টাকা নাকি লুটপাট হয়ে গেছে।

সরকারিভাবে পেনশন চালুর প্রয়োজনীয়তা

  1. নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা: সরকারি পেনশন ব্যবস্থা শিক্ষকদের অবসরের পর আর্থিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
  2. সমতা প্রতিষ্ঠা: সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা হবে, যা শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।
    প্রশাসনিক স্বচ্ছতা: সরকারি পেনশন ব্যবস্থায় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, যা দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হবে।
  3. সর্বোপরি শিক্ষকদের মধ্যে চাকুরী পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক হতাশা থেকে মুক্তি পাবে।
  4. টাকা পাওয়ার এই দীর্ঘসুত্রীতা থেকে রেহাই পাবে।
  5. এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এই টাকা বা তহবিলের উপর লোভের কারণে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকরাও সংগঠনের নেতা হয়ে থাকতে চেষ্টা করে।

সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জঃ

  1. অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন: সরকারি পেনশন চালু করতে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজন হবে, যা সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
  2. আইনগত ও প্রশাসনিক পরিবর্তন: বর্তমান অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের কাঠামো পরিবর্তন করে নতুন আইন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠন করতে হবে।
  3. তহবিল সংগ্রহ করতে হবে যেটা অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ এবং এ বিষয়ে সরকারকেই প্রধান ভুমিকা পালন করতে হবে।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকারিভাবে পেনশন চালু করা সময়ের দাবি। এটি শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করবে। সরকার, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই পরিবর্তন সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

One response to ““অবসর সুবিধা ও কল্যাণ তহবিল নয়,পেনশন ব্যবস্থাই একমাত্র সমাধান””

  1. […] আরও পড়ুন…….“অবসর সুবিধা ও কল্যাণ তহবিল নয়,পেনশন… […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme