এমপিওভুক্ত (বেসরকারি) শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। আশার বাণী এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জীবনের এক অপূর্ব পাওয়া। একটা কথা আছে না আশায় বাঁচে চাষা, আবার আশায় মরেও চাষা। আমরা আসলে কোন কাতারে পরি জানিনা। আর কতকাল এই বাণী শুনতে হবে তাও জানি না। এ রাষ্ট্রে সকল কিছুই কেন জানি সীমিত হয়ে যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেলয়।
বুধবার (৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে বিদায় এবং সিআর আবরারের যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা জানান। অনেক পাওয়া না পাওয়ার গল্প শোনান যা শুনতে ভাল লাগলেও বাস্তবে তা মেনে নেওয়া অনেক কঠিন কাজ।
শিক্ষকদের দাবি দাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলাম যে, সাধ্যমত এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলন করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেলায় সকল সময় আগামীতে।
তিনি বলেন, ‘এক বছরের বাজেট দিয়ে কীভাবে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন বই পৌঁছানোর কথা থাকলেও, এখনও অনেক শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছানো যায়নি। এ বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে। বই ছাপাতে দেরির পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউশনের সমস্যার কারণেই এখনও নতুন বই পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থিরতা নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন দাবিতে দেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অস্থিরতা ছিল। পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে, সেটি বলা যাবে না। তবে কিছুটা অবস্থানে এসেছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা- এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াবে বলে আশ্বস্থ করেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা। শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ ভাতার জন্য একটা তহবিল তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ ভাতার জন্য একটা তহবিল তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ বছরই কিছুটা তৈরি করা হয়েছে। আগামী বাজেটে আরও রাখা হবে। তবে পুরো ফান্ডটাকে টেকসই করতে হলে ১-২ বাজেটে হবে না, ভবিষ্যতে ৩-৪ বাজেটে আশা করি এটার সমাধান হয়ে যাবে। অবসর এবং কল্যাণ ফান্ডে টাকা এমন একটা ব্যাংকে ইচ্ছা করে রাখা হয়েছিল যে, ব্যাংকটাতে আর টাকা পয়সা নাই। কিছু ফান্ড এমনিতেই চলে গেছে অন্য জায়গায়।’
তিনি বলেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কল্যাণ ভাতা এবং অবসর ভাতা- এটা হলো তাদের সবচেয়ে ন্যায্য দাবি। কিন্তু তারা তো সংঘবদ্ধ না। তারা রাস্তাতেও কোনোদিন নামেনি। কিন্তু আমি তো মনে করেছিলাম তাদের ওই দাবিটাই সবচেয়ে আগে মেটানো উচিত।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক সি আর আবরার। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অধ্যাপক আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ উপদেষ্টার আবার কতদিন লাগবে সবকিছু ঘোছাতে তা কে জানে।
Leave a Reply