গত ০৫ অক্টোবর মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে অনেক মাথা উচু করে বলেছিলেন যে, আগামী জানুয়ারী মাস থেকে আর এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের আর বেতন প্রাপ্তিতে দীর্ঘসুত্রীতা থাকবে না। এখন থেকে তারাও মাসের ১ তারিখে তাদের বেতন বা মাউশি যেটাকে অনুদান বলে সেটা তারা নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবেন।
সেই কাজ শেষ করতে গিয়ে তো আজ শিক্ষক কর্মচারীরা তো না খেয়ে ও চরম উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছে। কিভাবে কাজ চলছে কি কাজ কোনদিন সেই কাজ শেষ হবে তার কোন সঠিক দায়বদ্ধতা বলতে কিছু নাই।
বেতন যদি আগের মত কোন নিদিষ্ট তারিখ বা মাসের শুরুতে নাই পাই তাহলে শখের ইএফটি করে আমাদের কি লাভ হল বলেন। এখনও যদি বেতন পেতে পেতে সেই ১০ তারিখ বা ১৫ তারিখ হয়ে যায় তাহলে কি অগ্রগতি হলো বলেন। বেশি কিছু বললে তো আবার বলবেন যে, না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান। কে আপনাদের এই পেশায় থাকতে বলেছে। মাননীয় উপদেষ্টা কেউ আমাদের যেমন বলেনি এটাও যেমন ঠিক আবার এটাও তেমনি ঠিক কাউকে না কাউকে তো এই পেশায় আসতে হবে। তারও তো একই সমস্যা হবে। তখন কি বলবেন যে, তুমি যাও এভাবে কি চলবে সারাজীবন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দুর্দশা কি কোনদিন কাটবে না এদেশে আমাদের সকল কিছুতে সরকারের অবহেলা। আমরা কোন কিছু চাইলে সরকার কেমন বিমাতা সুলভ আচরণ করে।
আচ্ছা একটা বার ভাবুন তো সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোন মাসের যদি ১০তারিখে বেতন দেন তাহলে তারা কি করবে। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা যে বাজারে বাজার করে আমরাও তো সেই বাজারেই বাজার করি। তাহলে আমরা কিভাবে জীবন যাপন করি। তাহলে আমাদের বেলায় এমন আচরণ কেন করেন আপনারা। এমনিতে আমাদের বেতন দেন কম।
আমাদেরও তো পরিবার পরিজন আছে। তাদের নানা ধরনের খরচ আছে। সন্তানের লেখা পড়া আছে, বৃদ্ধ বাবা মায়ের দায়িত্ব আছে। আছে বাড়ির ছোট ছেলে বা মেয়েটার নানা ধরনের বায়না।
Leave a Reply