বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, সর্বজনীন বদলির দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। একমত পোষণ করলেই কি সকল দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। দায়িত্ব শেষ তখনই হয় যখন তা বাস্তবে প্রয়োগ করা হয়। আপনি অনেক ভালো ভালো কথা বললেন কাজের কাজ কিছুই করলেন না। তাহলে সেই একমত হওয়ার কি কোন প্রকার প্রভাব কিন্তু বাস্তবে দেখা যাবে না বা প্রয়োজনও নাই।
গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এবং ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
সভায় শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, সর্বজনীন বদলি, অবসরের ছয় মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান, ননএমপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণ, ইবতেদায়ি মাদরাসার নীতি মালা জরুরিভাবে বাস্তবায়নসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবির সাথে ঐক্যমত পোষণ করেন এবং পর্যায়ে ক্রমে সমাধানের চেষ্টা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আর্থিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তবে অর্থ উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে পর্যায়ে ক্রমে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। আর কতকাল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা এই কথা গুলো শুনবে এই ধরনের কথাগুলো আমাদের কাছে অনেকাংশে টেপরেকর্ডারের কথার মতো লাগে।
ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে ইবতেদায়ির নীতি মালা বাস্তবায়ন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় হেড মাওলানা ও সহকারী মৌলুভী নিয়োগ, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো: মাইনুদ্দিন, সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো: আবদুর রহমান, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ ড এ কে এম মাহবুবুর রহমান, যুগ্মসচিব মুফতি মুহাম্মদ বদিউল আলম সরকার, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের অর্থ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আবদুল হাই ছিদ্দিকী সহ আরও অনেকে।
আমাদের আর এই ধরনের কথা শুনতে ভাল লাগেনা। এধরনের কথাগুলো শুনে শুনে আমরা অনেকটা ত্যক্ত ও বিরক্তও বলতে পারেন। আমরা আর কতকাল এ ধরনের কথা শুনব আমরা আর কতকাল এ ধরনের আশ্বাস প্রদানকারীদে কথা উপদেশ হিসেবে মেনে নিব আমাদের পেট ও পিঠ দুটোই দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। তাই দয়া করে ছেলেভুলানো ও লোক দেখানো কথা না বলবেন না আর দয়া করে। যদি আমাদের দাবী গুলো মানার মতো হয় তাহলে দয়া করে বলবেন যে, কখন কোনদিন থেকে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব আর না হলে তা সরাসরি বাতিল করে দেন।
Leave a Reply