1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
Title :
সরকারী চাকুরীজীবিদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা। আন্দোলনে সকলের প্রাপ্তির খাতা ভরা, কেবল এমপিওভুক্ত শিক্ষক ছাড়া। কিন্তু কেন? নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যা জানালো মাউশি। সরকারী শিক্ষক কর্মচারী বনাম এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী! এ কেমন বৈষম্য? এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারির বেতন ও বোনাস নিয়ে মাউশির আশ্বাস। ইএফটির ৫ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীর বেতনের খবর। সংশোধনের পরিপূর্ণ নির্দেশিকা ১০০% Authentic. এই এডিট অপশন কতটুকু সাহায্য করবে সংশোধনীর জন্য? সংশোধন কিন্তু সবার লাগবে তবে…… এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী সুযোগ সুবিধা কতটুুকু বাড়ছে?

১২ তারিখে সফল আমাদের হতেই হবে! নয়তো……

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৮৯ Time View

বাংলাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এত বৃহৎ একটা পেশাজীবি হওয়া সত্ত্বেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ আজীবন নিগৃহীত, নিপীড়ীত ও নির্যাতিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ যখনই কোন অধিকারের দাবী করতে গিয়েছে তখনই তাদের বিভিন্ন ভাবে তাদের মতামতকে দাবীয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কখনও পেশি শক্তি দিয়ে, কখনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, কখনও মরিচের গুড়া স্প্রে করে আবার কখনও গবেষণার অভাব দেখিয়ে। সারাজীবন আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলো দেখি কি করা যায় অথবা এখন হবে পরে দেখা যাবে এই জাতীয় আশ্বাসের মধ্যেই।

বাংলাদেশের যত পেশাজীবি রয়েছে তার মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী নামক যে পেশায় আমরা কর্তব্যরত আছি। আমাদের মত হতভাগা পেশা আর ২টা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের দাবীগুলো যেন সকল সময় অঙ্কূরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। আমাদের দাবীগুলো সকল অগ্রাহ্যতার গহ্বরে হারিয়ে যায়। আমাদের চাওয়াগুলো কোনসময় পাওয়ায় পরিণত হয়না। সেখানে আমাদের যেমন কিছু কিছু দায় আছে তেমনি আছে আমাদের যারা কর্তৃপক্ষ বলে দাবী করে তাদের অবহেলা, লাঞ্চনা আর নিগ্রহের ব্যাপার।

মানুষ কোনকালেই তাদের ন্যর্য দাবীগুলো দিনের পর দিন অবহেলিত দেখতে চায় না। যখন দেখে তাদের ন্যর্য দাবী গুলো প্রতিক্ষনেই না পাওয়ার দেওয়ালে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তখন তার মধ্যে মনের অজান্তেই একটা নাড়া দিয়ে উঠে, তার বিবেক তাকে আন্দোলিত করে তোলে। আর এভাবে একজন দুইজন করে আন্দোলিত হতে হতে গড়ে উঠে একটি সমাজের আন্দোলনের ধারা।

আন্দোলনে সফল হতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রেখে কাজ করতে হয়। বিশেষত, যে কোনো দাবী বা সমস্যার সমাধান পেতে আন্দোলনকে সুসংগঠিত, কার্যকর, এবং দীর্ঘমেয়াদীভাবে চালিয়ে যেতে হয়। আন্দোলন সফল হওয়ার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, সুস্পষ্ট লক্ষ্য এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

১. স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ:

  • আন্দোলনের শুরুতেই স্পষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কি অর্জন করতে চান, সেটা পরিষ্কার হওয়া জরুরি।
  • যেমন, বেতন বৃদ্ধি, সুযোগ সুবিধা, কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠূ পরিবেশ ইত্যাদি, যা আন্দোলনের মূল দাবি হবে। কি মুল দাবী হবে কি তার সাথের দাবী হবে সেটা পরিস্কার কর।

২. সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি:

  • আন্দোলন সফল করতে হলে, সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। সাধারণ জনগণ, সহকর্মী, সমাজের অন্যান্য অংশের সমর্থন প্রয়োজন।
  • নেতৃত্ব সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে আন্দোলনের প্রতি সবাই মনোযোগী এবং একসাথে কাজ করতে পারে। একটি সুগঠিত নেতৃত্বের ব্যানারে আন্দোলনকে পরিচালিত করতে হবে।

৩. প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রদান:

  • আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। যাতে তারা আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানে এবং তা অনুসরণ করতে পারে।
  • তথ্য প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলনের বিষয়ে সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে, যেন তারা আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং দাবী বুঝে সহায়তা করতে পারে।

৪. মাঝে মাঝে সমঝোতা ও ন্যায্য আলোচনা:
আন্দোলন শুরু করার আগে, যদি সম্ভব হয়, সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করুন। কখনও কখনও আলোচনা ও সমঝোতা করে কিছু সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

  • অবশ্য, যদি সমঝোতা না হয় বা তারা আপনার দাবী মেনে না নেয়, তবে আন্দোলন চলতে থাকবে। সেই মনোভাব সকল আন্দোলনকারীর মধ্যে থাকতে হবে।

৫. প্রচারণা ও গণমাধ্যমের ব্যবহার:

  • আন্দোলনকে জনমত তৈরির জন্য গণমাধ্যম ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক মাধ্যম (যেমন ফেসবুক, টুইটার) ব্যবহার করে আন্দোলনের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং অন্যান্য সংগঠনগুলোর সমর্থন অর্জন করা সহজ হয়ে যাবে।

৬. স্বতন্ত্র ও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি:

  • আন্দোলনের জন্য স্বতন্ত্র কর্মসূচি যেমন, পদযাত্রা, সমাবেশ, কর্মবিরতি, মানববন্ধন ইত্যাদি রাখা যেতে পারে।
  • ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি তৈরি করলে আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয় এবং বেশি মানুষ এতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী হয়।

৭. ধৈর্য্য ও ধারাবাহিকতা:

  • আন্দোলনে ধৈর্য্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে তেমন ফল পাওয়া নাও যেতে পারে, তবে ধারাবাহিকভাবে দাবী উপস্থাপন করতে হবে।
  • যদি প্রথমে কোনো সাড়া পাওয়া না যায়, তবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। একসময় প্রশাসন বা সরকার হয়তো সেই দাবী সম্পর্কে সজাগ হয়ে সমস্যার সমাধান করবে।

৮. আইনসম্মত পন্থায় আন্দোলন চালানো:

  • আন্দোলনটি আইনসম্মত এবং শান্তিপূর্ণ হওয়া জরুরি। সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আন্দোলন খারাপ পথে চলে যেতে পারে।
    আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আন্দোলন পরিচালনা করার সময় আইনের প্রতি সম্মান রাখতে হবে এবং কোন ধরনের সহিংসতার দিকে এগোতে হবে না।

৯. দাবির পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ উপস্থাপন:

  • যুক্তি ও প্রমাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দাবীর পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি এবং প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
  • যথাযথ তথ্য, পরিসংখ্যান, উদাহরণ দিয়ে আন্দোলনের বৈধতা এবং তাৎপর্য তুলে ধরতে হবে, যাতে জনসমর্থন অর্জন সহজ হয়।

১০. শক্তিশালী নেতৃত্ব ও সদস্যদের একতা:

  • আন্দোলনের পেছনে শক্তিশালী নেতৃত্ব থাকা প্রয়োজন। নেতৃত্বের মাধ্যমে আন্দোলনকে সংগঠিত রাখা, ঐক্য বজায় রাখা এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হয়।
  • আন্দোলনের সদস্যদের মধ্যে একতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। একতার মাধ্যমে একসাথে একে অপরের সহায়তায় আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

১১. সঠিক পরিকল্পনা:

  • আন্দোলনের অন্যতম প্রধান শক্তি হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি সুগঠিত আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব যে, আন্দোলন ন্যর্য দাবী আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে সক্ষম।
  • আন্দোলনের সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিবে। কোন পরিস্থিতিতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তার সঠিক পরিকল্পনা থাকা একান্ত প্রয়োজন।

পরিশেষে বলব,

আন্দোলনে সফল হতে হলে সঠিক পরিকল্পনা, ঐক্য, শক্তিশালী নেতৃত্ব, ধারাবাহিকতা এবং আইনি সুরক্ষা থাকতে হবে। আন্দোলন যত বেশি শান্তিপূর্ণ, যুক্তিপূর্ণ এবং স্বচ্ছ হবে, তত দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে তা সফল হতে পারে। আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব, তবে তা হতে হবে একটি সুসংগঠিত এবং নিবেদিত প্রচেষ্টা।

বার বার যদি প্রত্যাখাত হয়ে ফিরে আসি তাহলে কিন্তু একদিন আমরা আমাদের অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাব। আমরা হারিয়ে যাব স্মৃতির অতল গহ্বরে। তাই আসুন সবাই মিলে চেষ্টা করি যেন এবার আর খালি হাতে আমাদের ফিরতে না হয়। আমাদের চাওয়া গুলো আমাদের অর্জনে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছে হটবনা। এবার আমাদের সফল হতেই হবে হতেই হবে! নয়তো……..

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme