২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবসে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রদানের যে ঘোষনা সরকার দিয়েছিল তার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে জানুয়ারীর ১ তারিখে। ১ লক্ষ ৮৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারীদের ১ম ধাপে বেতন প্রদানের মাধ্যমে। তবে শিক্ষকদের বড় একটি অংশ কিন্তু এখনও বেতন পায়নি। না পাওয়া অংশের মধ্যে থেকে গত ১৯ তারিখে আরও ৬৭ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষক কর্মচারীর পেমেন্ট তালিকা প্রকাশ করে। তবে তারা কিন্তু এখনও বেতন পাননি। আজ কাল পরশু করে শুধু সময়ক্ষেপন করেই যাচ্ছে। তবে আজ ইএমআই এসে সেলের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আগামীকাল বেতন পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বাজেট) মোর্শেদা আক্তার বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের বেতন-ভাতার অর্থ ছাড়ের সরকারি আদেশ (জিও) জারি হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অর্থ ব্যাংকে জমা হবে। এরপর তারা টাকা তুলতে পারবেন।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনের জিও জারি হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি)। শুক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। আজ রোববার জিও সংক্রান্ত কাগজপত্র হিসাব মহা-নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারা কাগজপত্র যাচাই করে আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) টাকা ব্যাংকে পাঠাবেন।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বাজেট) লিউজা-উল-জান্নাহ বলেন, ‘শুধু জিও জারি হলেই এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন বিষয়টি তেমন নয়। হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হওয়ার পর শিক্ষকদের বেতন ব্যাংকে যাবে। এরপর তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন।’
মুল বিষয় যা তা হলো বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ ছাড়ের বিষয়টা। অর্থ যদি বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড় করে তবে বেতন পাওয়া যাবে না হলে পাওয়া যাবে না। এভাবে যদি প্রতিমাস গড়িমসি করে তাহলে ইএফটি দিয়ে কি সত্যি আমাদের কোন লাভ হবে।
আসলেই কি বিচিত্র এক দেশ আরও কি বিচিত্র আমাদের আমলাতন্ত্র।
Leave a Reply