অনলাইন MPO আবেদনে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ভোগান্তি।
- Update Time : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫
- ৬১ Time View
সার্ভার সমস্যায় অনলাইনে এমপিও আবেদন করতে পারছেন না মাদরাসা শিক্ষকরা
মাদরাসা এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (মেমিস)–এ কারিগরি ত্রুটির কারণে অনলাইনে এমপিও আবেদন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদরাসা শিক্ষকরা। ফলে নির্ধারিত সময়সীমা, আগামী মঙ্গলবার (১০ জুন), এর মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করতে না পারলে দুই মাসের বেতন হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন নবনিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
রবিবার দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকরা ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে জানিয়েছেন, মেমিসে ঢুকতেই পারছেন না তাঁরা। এ অবস্থায় আবেদনপত্র জমা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তারা দাবি করেন এবং সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি বিবেচনায় নিয়ে আগেই আবেদন করার সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে আরও সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। যাঁরা আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের আগামী মাসে আবার আবেদন করতে হবে। এই একমাসের জন্য তাঁদের কিছুটা ভোগান্তি সহ্য করতেই হবে।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদরাসা শিক্ষক বলেন, সার্ভার সমস্যার কারণে জুন মাসের অনলাইন এমপিও আবেদন করতে পারিনি। আমরা আশা করছি, অধিদপ্তর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে সার্ভার সমস্যার সমাধান করবে এবং আবেদনের সময়সীমা বাড়াবে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশ দিয়েছিল, ১ থেকে ৪ জুনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা মেমিস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন জমা দেবেন এবং ১ থেকে ১০ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা আবেদন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সেলে পাঠাবেন।
উল্লেখ্য, পূর্বে মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিও আবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ইএমআইএস সেলের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকৃত হতো এবং প্রতি বিজোড় মাসে এমপিও কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হতো। এতে করে ইনডেক্সবিহীন শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি বিজোড় মাসে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকত। তবে ২০১৯ সাল থেকে মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য পৃথকভাবে মেমিস চালু হওয়ায় এখন প্রতি মাসেই অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
Leave a Reply