1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

মে মাসের বেতনের জিও জারি যা জানাল অর্থ মন্ত্রণালয়।

  • Update Time : শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫
  • ১৩১৩ Time View
মে মাসের বেতনের জিও জারি যা জানাল অর্থ মন্ত্রণালয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতনের সরকারি আদেশ জারি, অন্তর্ভুক্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী

মে মাসের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি আদেশ (জিও) জারি করেছে সরকার। এতে মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪২৪ জন শিক্ষক ও কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ১৬১ জন স্কুল পর্যায়ের এবং ৮৭ হাজার ২৬৩ জন কলেজ পর্যায়ের।

শনিবার (১৮ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একাধিক কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ২১ মে ২০২৪ তারিখে ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালের বকেয়া বেতন এবং বৈশাখী ভাতা সংবলিত একটি পৃথক জিও জারি করা হয়েছিল।

জিও অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮ জন স্কুল পর্যায়ে এবং ৮৭ হাজার ৩৮৯ জন কলেজ পর্যায়ে কর্মরত।

এছাড়া, বিভিন্ন সময়ের বকেয়া বেতনের আওতায় আরও কয়েকটি ধাপের শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:

  • ডিসেম্বর (৭ম ধাপ): মোট ১,২৪২ জন; এর মধ্যে স্কুলের ৮৬৯ জন এবং কলেজের ৩৭৩ জন।
  • জানুয়ারি (৪র্থ ধাপ): মোট ১,৫৫৬ জন; এর মধ্যে স্কুলের ১,১১৬ জন এবং কলেজের ৪৪০ জন।
  • ফেব্রুয়ারি (৩য় ধাপ, আংশিক): মোট ১,৫৭৩ জন; এর মধ্যে স্কুলের ১,১২৭ জন এবং কলেজের ৪৪৬ জন।
  • মার্চ (২য় ধাপ, আংশিক): মোট ১,৫৭৩ জন; এর মধ্যে স্কুলের ১,১২৭ জন এবং কলেজের ৪৪৬ জন।

বেতন বিতরণে অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি)-এর মাধ্যমে সরাসরি তাদের বেতন-ভাতা গ্রহণ করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা না থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হতো, যা নানা ভোগান্তির সৃষ্টি করত।

সাম্প্রতিক সময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যও ইএফটি চালু করা হয়েছে, যার ফলে তাদের বেতন ও ভাতা এখন সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে। এতে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমেছে।

তবে বাস্তবে অনেকেই এখনো নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইএমআইএস সেলে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের শিক্ষা অফিসারদের অবহেলা। ফলে সময়মতো বেতন পাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme