অবহেলা ও অবজ্ঞার আর এক নাম এদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এত গড়িমসি মনে হয় শুধু এই পেশার ক্ষেত্রেই বিরাজমান।
মঙ্গলবার, জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব সহ মোট ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়ে যান মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের বর্ধিত উৎসব ভাতার অগ্রগতি জানার জন্য। সেখানে গিয়ে তারা তিনজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও যেটা সত্যি তা হলো যে, তারা এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না যে, আগামী ঈদুল আযহার পূর্বে তারা তাদের বর্ধিত উৎসব ভাতার অংশ পাবে।
প্রথমে তারা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম মহোদয়ের সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব ফারুকুজ্জামান মহোদয়ের সঙ্গে বর্ধিত উৎসব ভাতা প্রদানের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সর্বশেষে তারা শিক্ষা উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএস) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। কিন্তু কেউ নিশ্চিত ভাবে কোন সদুত্তোর দিতে পারছে না। সকলেই শুধু আশ্বাসের বাণীই শোনাচ্ছেন।
জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ হতে সকলের সাথে আলাপকালেই আসন্ন ঈদ-উল-আযহার সময় থেকেই বর্ধিত উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানানো। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবির বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং জানান, তাঁরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা প্রদর্শন করবেন।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, শিক্ষা উপদেষ্টার পিএস আমাদের উপস্থিতিতেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন। এই আলাপচারিতা আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ও আশা রাখি, আগামী ঈদ-উল-আযহা থেকেই এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বর্ধিত উৎসব ভাতা কার্যকর হবে।
পরিশেষে যে কথা বলতে চাই তা হলো সকল সময় সকল বিষয়ে যদি এদেশের নীতি নির্ধারকেরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে এভাবে অন্যায় ও প্রতিশোধমুলক আচরণ করে তাহলে কিভাবে তা দিনের পর দিন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা সহ্য করবে। একবার সামান্য এক অজুহাতের বিনিময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বর্ধিত উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হলো আবার যদি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকেরা ঈদের পূর্বে যদি তাদের বর্ধিত উৎসব ভাতার অংশ না পায় তাহলে কি বিষয়টা কতটুকু যুুক্তিযুক্ত দেখায়। উৎসব ভাতা বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া তো আর আগামী এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করা হয়নি। তাহলে এখন কেন শেষ সময়ে এসে এভাবে গাছাড়া ভাব দেখানোর কি অর্থ দাঁড়ায়।
বর্তমান যে, প্রেক্ষাপট তাতে কিন্তু কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষকগণও কিন্তু আগামী ঈদুল আযহার পূর্বে যে, তাদের বর্ধিত উৎসব ভাতার অংশ পাবেন তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।
Leave a Reply