এমে মাসের বেতন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব, বাড়ছে উৎসব ভাতা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মে মাসের বেতনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ ধাপে মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ১৬১ জন স্কুল এবং ৮৭ হাজার ২৬৩ জন কলেজ পর্যায়ের।
বুধবার (২১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। এখন দেখার বিষয় কোনদিন নাগাদ বেতনের অর্থ শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করে। কারণ এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের এপ্রিলের বেতন হাতে পায় নি মাসের তিন ভাগে দুই ভাগ শেষ।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কিন্তু বলা হয় যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি যদি মাসের শুরুতেই আমাদের কাছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের প্রস্তাব প্রেরণ করে তাহলে আমরা মাসের শুরুতেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদান করতে পারব।
মাউশি থেকে প্রতিমাসেই কোন কোন না বাহানায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানে দেরি করা যেন তাদের নিত্য দিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা যেন কিছুতেই কোন অবস্থাতেই দুর করা যাচ্ছে না।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদুল আজহা থেকে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে। তবে কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পুরোনো নিয়মই বহাল থাকবে। এ বিষয়ে কারও কাছ থেকে দায়িত্বশীল কোন কারণ এখন অবধি জানা যায় নি। সকলেই যেটা বলছে যে যার মত গা বাঁচানো কথা। এভাবে কর্মচারীদের সাথে যে বৈষম্য করা হলো তা কোনমতেই কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা পেলেও, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন এতদিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে প্রদান করা হতো। এতে নানা ভোগান্তির শিকার হতেন শিক্ষকরা। বর্তমানে ইএফটি চালু হলেও, ইএমআইএস সেলের অব্যবস্থাপনা ও জেলা-উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের গাফিলতির কারণে অনেকেই এখনো সমস্যায় রয়েছেন।
Leave a Reply