জাতীয়করণের দাবিতে লং মার্চে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ, সংঘর্ষে উত্তেজনা
জাতীয়করণের দাবিতে লং মার্চে অংশ নিতে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। কর্মসূচির সূচনার আগে মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষকদের একটি অংশ স্লোগান দিতে শুরু করেন—‘আওয়ামী লীগের দোসরারা, হুঁশিয়ার সাবধান’। একপর্যায়ে তারা অধ্যক্ষ কাওছারের ওপর হামলা চালান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং এ সময় অধ্যক্ষ কাওছারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, “আমরা গত চার দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় আজ সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কর্মসূচিকে ভেস্তে দিতেই এই হামলা হয়েছে।” এই ধরনের হামলা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কেউ বা কোন শিক্ষক তো সেখানে কোনপ্রকার দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হাজির হয়নি। ঐখানে যারা আন্দোলন করতে গিয়েছিল তারা সকলের উদ্দেশ্য ছিল পেশাগত দাবি আদায়। সেই পেশাগত দাবী আদায় করতে গিয়ে যদি দুবৃত্তের হামলার শিকার হতে হয় তাহলে বিষয়টি বড়ই দুঃখজনক।
তিনি আরও জানান, “ঘটনার পর পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। লং মার্চ আদৌ হবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। এখন কর্মসূচি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।”
এর আগে ১৮ মে (রোববার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঘেরাও করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তাদের দাবি, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে একটি সমতা ভিত্তিক কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রেও সকল ধরনের বৈষম্য দূর করে প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানানো হয়। তাদের মতে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রায় ৫৭ শতাংশ পরিচালিত হয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মাধ্যমে, অথচ এই বিশাল দায়িত্ব পালন করেও তারা বৈষম্যের শিকার।
Leave a Reply