দৃশ্যপট-১ঃ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ করতে সম্মতিপত্র দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে সেই পত্রে ‘কর্মচারী’ শব্দ উল্লেখ করা হয়নি। আর সেই কারণে কর্মচারীদের উৎসব ভাতার ২৫% বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় আসেনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের। যে বিষয়টা কোন সমস্যারই না এখন সেটিই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি সমাধানে নিজেদের মধ্যে সভা করেছে শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়। জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে না বলে জানিয়েছেন দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ফলে আসন্ন ঈদুল আযহার পূর্বে বর্ধিত উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
দৃশ্যপট-২ঃ কয়েকদিন আগে মাউশির একাধিক পরিচালক ও উপপরিচালক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বেতন কবে দেওয়া যাবে, সে বিষয়ে তাঁরাও নিশ্চিত নন। মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। জানা গেছে, বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বে থাকা এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান অসুস্থ। তাঁর অনুপস্থিতিতে কাজ অচল হয়ে আছে, কারণ বিকল্প কেউ নেই। ফলে শিক্ষকদের ড্যাশবোর্ডেও আগের মতো তথ্য দেখা যাচ্ছে না, যা তাঁদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এপ্রিলের বেতন প্রদান নিয়ে মাউশি যে নাটক করল সেই নাটকের শেষ দৃশ্যের চিত্রায়ন এখনও শেষ হয়নি জানিনা শেষ দৃশ্যে আবার কোন ক্লাইমেক্স অপেক্ষা করছে।
উপরের যে দুইটা ঘটনা উল্লেখ করলাম এই মাসেরই ঘটনা এরকম ঘটনা যদি খুঁজতে যাওয়া যায় তাহলে অসংখ্য ভরি ভরি পাওয়া যাবে। যা নিয়ে লিখলে লেখার কালি ফুঁরিয়ে যাবে কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে সৃষ্ট ঘটনা শেষ হবে না। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রত্যেকটা কাজেই মাউশির ডেভিলরা ওৎ পেতে বসে থাকে জটিলতা তৈরি করার জন্য। মাউশিতে ভালো মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল এখানে যেগুলো থাকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কিভাবে তাদের নিকট যারা বিভিন্ন সেবার জন্য যায় তাদেরকে কিভাবে হয়রানি করা যায়। কিভাবে বিভন্ন বিষয়ের জটিলতা তৈরি করে মানুষকে কিভাবে হয়রানি করা যায়।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো এই ভাবে আর কতদিন? সবকিছুরই তো একটা শেষ আছে। মাউশির অন্যায় অবিচারের কি কোন শেষ নাই। আমাদের দেশের প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে দিনের পর দিন মাউশিতে নিযুক্ত ডেভিলরা শিক্ষকদের সাথে অন্যায় অবিচার করে যাবে তার কি কোন প্রতিকার হবে না।
মাউশি এখন যা করছে উৎসব ভাতা নিয়ে তা পুরোপুরি নাটক ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। কারণ আপনি যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে একটা শব্দ বাদ দিয়ে তারপর যদি সেটা নিয়ে অতিরিক্ত দরদ দেখানো হয় তাহলে সেটাকে আপনি কি বলবেন।
বর্তমানে মাউশি আর অর্থ মন্ত্রণালয় যা করছে এটা তাদের পাতানো খেলা ছাড়া আর কি বলা যায়। এই দুই মন্ত্রণালয় একজোট হয়ে যে খেলায় মেতেছে তা হল কিভাবে উৎসব ভাতার বৃদ্ধি বাতিল করা যায় অথবা আপাতত স্থগিত করা যায়।
Leave a Reply