আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ২২৯ কোটি টাকা উৎসব ভাতা ছাড়ের বিষয়ে সম্মতি দিয়ে চিঠি দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে ওই চিঠিতে কেবল শিক্ষকদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ থাকায় কর্মচারীরা অনিশ্চয়তায় ছিলেন।
সোমবার বিষয়টি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সংশোধিত চিঠিতে এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার বিষয়টি যুক্ত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ১৪ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার জামিল স্বাক্ষরিত চিঠিতে শুধুমাত্র এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ২২৯ কোটি টাকা ছাড়ের সম্মতির কথা বলা হয় এবং তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, মাউশির প্রস্তাবনায় কর্মচারীদের ভাতা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় তাদের নিয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। মাউশির পক্ষ থেকে শিক্ষক-কর্মচারী উভয়ের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হলেও প্রস্তাবের অস্পষ্টতার কারণে এমন বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, “আমরা কর্মচারীদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিপত্রে প্রতিফলিত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে, এবং আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি, আসন্ন ঈদ থেকেই কর্মচারীরাও বর্ধিত উৎসব ভাতা পাবেন।”
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় খুব দ্রুত ভাতা বৃদ্ধি-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে। ২২৯ কোটি টাকার ব্যয়ের সম্মতির মানে এই নয় যে, যেকোনোভাবে ব্যয় করা যাবে। নির্ধারিত নীতিমালার আওতায় সঠিকভাবে ব্যয় হবে।”
Leave a Reply