সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের বৈষম্যের দুরীকরণের লক্ষ্যে ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই লক্ষ্যে শিক্ষক কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু তথ্য যাচাই বাছাই করতে গিয়ে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। বিধায় সেই সকল শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতাভুক্ত তো হতে পারেননি উপরুন্ত তাদের বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারনে তাদের জীবনে এক প্রকার অন্ধকার আমনিশায় ঢেকে গেছে।
তাদের জন্য খুশির খবর এই যে, মাউশি সুত্রে খবর যে সকল শিক্ষক কর্মচারীর প্রেরিত তথ্যে বড় ধরনের ভুল রয়েছে, যেমনঃ জন্ম তারিখের ভুল, ব্যাংক হিসাব নম্বরের ভুল, এনআইডির বড় ধরনের জটিলতা, শিক্ষা সনদের সাথে বিভিন্ন ধরনের অসংগতি। এই ধরনের যে ৩০ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদানের বিষয়ে কাজ চলমান দ্রুতই সে বিষয়ে জানা যাবে তারা কিভাবে কোনদিন বেতন পাবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় যেটা তা হল অবশ্যই তারা প্রকৃত শিক্ষক কর্মচারী হতে হবে। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন আমি কি বোঝাতে চেয়েছি।
এমপিওভুক্ত ৩ লাখ ৯৮ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে বিগত ৪ ধাপে প্রায় অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারী কিন্তু ইএফটির আওতাভুক্ত হয়েছন। ১ম ধাপে ১লাখ ৮৯ হাজার, ২য় ধাপে ৬৭ হাজার, ৩য় ধাপে ৮৪ হাজার ও ৪র্থ ধাপে আরও ৮ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতাভুক্ত হয়েছে।
এখন বাকি ৩০ হাজারের মধ্যে সামনের ধাপে আরও কতজন শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতাভুক্ত হয় দেখা যাক।
তবে উল্লেখযোগ্য কথা এই যে, তাহলো যে, বেতন পেলেও ১ম ধাপ বাদে বাকি শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য নির্দেশনা মোতাবেক সংশোধন করতে হবে।
Leave a Reply