এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জানুয়ারী মাসের বেতন আজ ১০ তারিখেও পাওয়া যায় নি। তবে অতি শ্রীঘই হয়তবা পাওয়া যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের বেতন চলতি সপ্তাহে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাবেন বলে আশা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)।
মাউশির একটি সূত্র আজ সোমবার জানিয়েছে, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে বেতন পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে বিল সাবমিশন শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামী সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জানুয়ারি মাসের বেতন ঢুকবে। এরপর তারা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যদিও এ সংক্রান্ত সংবাদ এই প্লাটফর্ম থেকে আগেই জানিয়েছিলাম পার্থক্য শুধু এই যে আমি পূর্বে বলেছিলাম যে ৪টি ধাপের একসাথে বেতন প্রদান করা হবে এখন যেটা নতুন করে জানতে পেরেছি তা হল না ৩য় ধাপ পর্যন্ত জানুয়ারীর বেতন প্রদান করা হবে। বাকি ৪র্থ ধাপের বেতন দেওয়ার পর তাদের আবার বেতন প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা জানান, ‘ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হলেও বিল সাবমিশন করবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় কতজন শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হবে সেটি সাবমিট করবেন। এরপর আমরা এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।’
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের জটিলতা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সেই প্রভু নির্ভর ইচ্ছা। আগে বেতন নিয়ে মহাজনগিরি দেখাতো প্রতিষ্ঠানের অশিক্ষিত সভাপতিরা এখন দেখাবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। পার্থক্য কি বাপের কাছ থেকে ছেলে কাছে এল ক্ষমতা এমনটিই হতে যাচ্ছে কিনা।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বিল সাবমিশনের কাজ শুরু করেছেন। দুই/একদিনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামী সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এজন্য সঠিক তথ্য সাবমিট করতে হবে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী আগামী সপ্তাহে বেতন পেতে পারেন।’
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার এবং তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার ৭০০ শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। তবে এখনো জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি তারা।
Leave a Reply