1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
Title :
সরকারী চাকুরীজীবিদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা। আন্দোলনে সকলের প্রাপ্তির খাতা ভরা, কেবল এমপিওভুক্ত শিক্ষক ছাড়া। কিন্তু কেন? নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যা জানালো মাউশি। সরকারী শিক্ষক কর্মচারী বনাম এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী! এ কেমন বৈষম্য? এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারির বেতন ও বোনাস নিয়ে মাউশির আশ্বাস। ইএফটির ৫ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীর বেতনের খবর। সংশোধনের পরিপূর্ণ নির্দেশিকা ১০০% Authentic. এই এডিট অপশন কতটুকু সাহায্য করবে সংশোধনীর জন্য? সংশোধন কিন্তু সবার লাগবে তবে…… এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী সুযোগ সুবিধা কতটুুকু বাড়ছে?

আশ্বাসে বিশ্বাস নাই দ্রুত প্রজ্ঞাপন চাই। আন্দোলনই যখন একমাত্র সমাধান।

  • Update Time : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৪৭ Time View

পৃথিবীতে আশ্বাস ও বিশ্বাস দুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। এই শব্দটি দুটি দিয়ে পৃথিবীতে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় যা তা হলো এই যে, যে আশ্বাস দিবে তার প্রতি যাকে আশ্বাস দিবে তার শতভাগ আস্থা থাকতে হবে। কিন্তু শুনতে খারাপ লাগলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই আশ্বাস শব্দটি শুধু হতাশার। অতীতে এই আশ্বাস দিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে যে পরিমাণ প্রতারণা করা হয়েছে তা এরকম দুপৃষ্ঠা লিখলেও শেষ হবে না। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা আর আশ্বাস এর উপর বিশ্বাস করতে ইচ্ছুক নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা এখন যেটা বুঝে তা হল হয় দিবেন না হলে মুখের উপর না বলে দিবেন। আশ্বাস আর দিবেন না।

পৃথিবীতে আশ্বাস যেমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ তেমনি দিনের পর দিন আপনি আশ্বাস শুনে আশ্বাস মেনে আপনার জীবনকে চালাতে পারবেনা। জীবন চালাতে হলে আশ্বাসের বাস্তবায়ন চায়। জীবন চালাতে অর্থের প্রয়োজন অর্থ ছাড়া এই মুনষ্য পরিচালিত পৃথিবীটা অনেকটা অচল।

যখন আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হয় এবং অন্য সমস্ত উপায় মেনে নিয়ে কার্যকর ফলাফল না আসে, তখন আন্দোলন একমাত্র উপায় হতে পারে। এটি একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যার মাধ্যমে আপনি এবং অন্যদের দাবি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে পারেন।

আন্দোলন সফল করতে কিছু মূল উপায়:

১. একতা এবং সংগঠন:

  • আন্দোলন সফল করতে হলে একতা অপরিহার্য। যত বেশি মানুষ একত্রিত হবে, তত বেশি শক্তিশালী হবে আন্দোলন। তাই আপনি এবং আপনার সহযোদ্ধারা একসাথে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন শুরু করুন। দলের মধ্যে আন্তরিকতা, উদ্দীপনা ও দৃঢ়তা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

২. নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং দাবি স্পষ্ট করা:

  • আন্দোলনের মূল দাবি স্পষ্টভাবে জনগণ ও সরকারকে জানানো জরুরি। কিছু নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, যেমন “প্রজ্ঞাপন জারি করার নির্দিষ্ট তারিখ” অথবা “নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আমাদের দাবির সমাধান” ইত্যাদি।

৩. আইন এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ:

  • আন্দোলনটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। সহিংসতা কখনওই আন্দোলনের উদ্দেশ্য সাধন করতে সাহায্য করে না। আইনগতভাবে সঠিক পথে আন্দোলন করা সবার জন্য নিরাপদ এবং আরও কার্যকর।
  • শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, সমাবেশ, হেঁটে যাওয়ার কর্মসূচি, সঠিকভাবে উপস্থাপিত স্মারকলিপি প্রদান—এ ধরনের পদক্ষেপগুলো আরও সহায়ক হতে পারে।

৪. মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার:
আজকের দিনে মিডিয়াসোশ্যাল মিডিয়া একটি আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আপনার আন্দোলনের বার্তা সর্বত্র পৌঁছাতে সাহায্য পাওয়া যায়।

  • ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম বা ইউটিউব ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার আন্দোলনের ভিডিও, পোস্ট বা বার্তা ছড়িয়ে দিন। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ও সমাজের আরো মানুষ আপনাদের দাবির সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন।

৫. নির্দিষ্ট সময়সীমা:

  • সময়সীমা নির্ধারণ করা আন্দোলনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। এটি নিশ্চিত করবে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাপ বাড়ছে এবং তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিবে। “এই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা না হলে, আমরা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব”—এমন একটি ঘোষণা কার্যকর হতে পারে।

৬. সাধারণ মানুষের সমর্থন লাভ:

  • সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া আন্দোলনের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। এজন্য প্রয়োজন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। তাদের বোঝানো যে, আন্দোলন কেবল আপনাদেরই জন্য নয়, বরং সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৭. বিরোধী পক্ষের মতামত:

  • যে কোনো আন্দোলনেই কিছু বিরোধী বা অমতান্তরিত পক্ষ থাকতে পারে। তাদের মতামত এবং উদ্বেগের প্রতি সম্মান রেখে আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করুন।

৮. আন্তর্জাতিক সমর্থন:

  • যদি আন্দোলনের উদ্দেশ্য বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্ব বহন করে, তবে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়াও আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে পারে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বা বিদেশী মিডিয়া আপনার আন্দোলনকে সমর্থন করতে পারে।
    শেষ কথা:
    আন্দোলন একটি কঠিন এবং ধৈর্য্যের কাজ। এতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে, তবে যদি আপনি এবং আপনার সহযোদ্ধারা দৃঢ়সংকল্পে ও একত্রিত হয়ে এগিয়ে যান, তাহলে এটি সফল হতে পারে। আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো দাবি বাস্তবায়ন করা কঠিন হলেও, তা পরিবর্তনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।

একমাত্র সংগঠিত সংগ্রামই সঠিক পরিণতি এনে দিতে পারে। আন্দোলনটি শান্তিপূর্ণ, আইনি এবং জনগণের সমর্থন সহকারে পরিচালিত হলে তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সর্বশেষ একটি কথা বলব তা হল আশ্বাস আর না দিয়ে সামর্থ মত আমাদের দাবী পূরণ করার চেষ্টা করুন। অতীতে আমাদের অনেক প্রকারের আশ্বাস দিয়েছেন সেই আশ্বাসগুলোই বাস্তাবায়নের চেষ্টা করুন তাহলেই হবে। নতুন করে কোন আশ্বাসের দরকার নাই। পুরাতন গুলো বাস্তাবায়ন করলেই হবে। আমাদের চাওয়া পাওয়ার মধ্যে যেমন নতুন কিছু নাই। তেমনি নতুন কোন আশ্বাসের দরকার নাই। এখন শুধু বাস্তবায়ন করার পালা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme