বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কমর্রত এমপিওভুক্ত ৩ লক্ষ আশি হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১ম ধাপে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান করে ইএফটির মাধ্যমে। সেই ধারাবাহিকতায় গত১৯ তারিখে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি)-এর মাধ্যমে বেতনের পেমেন্ট লিষ্ট প্রকাশ করে এবং তাদের বেতন গত ৩০ তারিখে ব্যাংকে জমা হয়। ২৭ জানুয়ারী ৩য় ধাপের পেমেন্ট তালিকা প্রকাশ হয় এবং গত ৫ ফেব্রুয়ারী তাদের বেতন ব্যাংকে জমা হয়। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারী ৪র্থ ধাপের পেমেন্ট তালিকা প্রকাশ হয় যদিও তাদের বেতন এখনও ব্যাংকে জমা হয়নি। ৪টি ধাপে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতাভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে এখনও প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতার বাইরে।
সংখ্যাটা কিন্তু নেহায়েত কম নয় এই পরিমাণ শিক্ষক কর্মচারীর উপর নির্ভর কিন্তু দেড় থেকে দুই লক্ষ মানুষ। একবার ভাবুন সেই মানুষগুলোর কি অবস্থা বেতন বিহীন থাকায়। মাউশির ভাষ্যমতে এই সকল শিক্ষক কর্মচারী সহ আরও যারা ১ম ধাপ বাদে বাঁকি তিন ধাপে বেতন পেয়েছে তাদেরও তথ্য সংশোধন করা লাগবে। কিন্তু কি তথ্য সংশোধন করা লাগবে কোন তথ্য সংশোধন করা লাগবে পরিস্কার নির্দেশনা প্রকাশ করছে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে সকল শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য সংশোধন করা লাগবে তাদের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন ২ মাস। এই সময়ের মধ্যে সংশোধিত তথ্য পুনরায় প্রেরণ করা লাগবে। কিন্তু সঠিক নির্দেশনা না থাকলে আমরা কিভাবে তথ্য সংশোধন করব। এছাড়াও আরও প্রশ্ন হলো কোন কোন ধাপের শিক্ষক কর্মচারীরা তথ্য সংশোধন করতে সেটা আজ অবধি জানানো হয়নি।
সময় কিন্তু সময়ের আপন গতিতে চলমান কিন্তু আমরা যারা সময়ের পিছনে ছুটছি তারাই কিন্তু পরে বলব যে, নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরও সংশোধিত তথ্য শিক্ষক কর্মচারীরা প্রেরণ করে নাই।
সবিনয়ে বলছি মাউশি হলো আমাদের অভিভাবক সংস্থা। অতএব আপনাদের দায়িত্ব কিন্তু অভিভাবকের মতো পালন করতে হবে। আপনারা যদি সমস্যা কিভাবে দ্রুততর সময়ের মধ্যে সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ না নিয়ে সমস্যা কিভাবে ঘনীভুত হয় সেই দায়িত্ব পালন করেন সেটা কি আপনাদের মানায় বলেন।
পরিশেষে আবারও বলছি দয়া করে দ্রুততর সময়ের মধ্যে পরিস্কার করে বলুন কোন কোন ধাপের শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য সংশোধন করা লাগবে এবং কার কি তথ্য সংশোধন করা লাগবে।
অনেক শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য সংশোধন করতে কিন্তু বেশ সময় লাগবে। কারণ আমাদের দেশের সরকারী যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো এই সকল সেবা প্রদান করে থাকে তাদের কাজের যে ধরনের ধীরগতি তা কিন্তু আমাদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ সৃষ্টি করে। আর দেরি না করে প্রতিষ্ঠানের ইএফটির প্যানেলে দ্রুততর সময়ের মধ্যে সংশোধনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সহ কার কি ভুল বিদ্যমান দৃশ্যমান করুন।
আমরাতো সঠিক কাগজপত্র দিয়ে চাকুরী নিয়েছি ভুল করছেন তারা মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদের।
ronjitsen4141@gmail.com