1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

মেজর ডালিম কি বিপ্লবী ছিলেন?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৪ Time View

মেজর ডালিম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী এবং মুক্তিযুদ্ধের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তবে, তার বিপ্লবী পরিচয় মূলত তার অবদান ও অ্যাকশন এর মধ্যে নির্ধারিত হয়, এবং তার কর্মকাণ্ডের উপর বিতর্কও রয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং তার বিপ্লবী কর্মকাণ্ড তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দিয়েছে। তবে তাকে তার কিছু বিতর্কিত কর্মকান্ড তাকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তেমনি তার অর্জন গুলোকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তার বিপ্লবী সত্তাকেও কলঙ্কিত করেনি কি?

মেজর ডালিমের ইতিহাস:

মেজর ডালিম, আব্দুল কাদের সিদ্দিকী নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় বিপ্লবী নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গেরিলা আক্রমণে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে গঠিত ছিল গেরিলা বাহিনী, যা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফলভাবে আক্রমণ চালাতো।

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড:

মেজর ডালিমের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছিল:

1. পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ: মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে গঠিত গেরিলা বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণ চালাতো এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধকারী বাহিনী হিসেবে কাজ করেছিল।

2. পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ: মেজর ডালিম পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তার বাহিনী বিপ্লবী আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বিপর্যস্ত করে তুলেছিল।

3. মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ: মেজর ডালিম মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তার নেতৃতে, তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ এবং বিপ্লবী কার্যক্রম চালিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে শক্তিশালী করেছিলেন।

4. দেশের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিপ্লবঃ সে দেশের তৎকালীন শাসকদের বিরুদ্ধে তথা শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিল যা তাকে তার বিপ্লবী সত্তার প্রকাশ হিসাবে চিনিয়ে দেয়।

5.১৫ আগস্ট ১৯৭৫: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা

মেজর ডালিম ছিলেন ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থানের অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী।

  1. অভ্যুত্থানে জড়িত:
    • মেজর ডালিম, কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান এবং কর্নেল আবু তাহের মোহাম্মদ (এটিএম) হায়দারের নেতৃত্বে একটি চক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
    • তিনি অভ্যুত্থানকে একটি “বিপ্লবী পরিবর্তন” হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।
  2. রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:
    • ডালিম ও তার সহযোগীরা মনে করতেন, শেখ মুজিবের শাসনব্যবস্থা স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।

6.৩ নভেম্বর ১৯৭৫: জেলহত্যা এবং মোশতাক সরকার

  1. মেজর ডালিমের ভূমিকা:
    • মেজর ডালিম এবং তার সহযোগীরা শেখ ফজলুল হক মণি, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত হয়ে রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সরকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন।
    • মোশতাক আহমেদকে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হয়।
  2. জেলহত্যার প্রেক্ষাপট:
    • ৩ নভেম্বর ১৯৭৫-এ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা (তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান) হত্যার ঘটনায় ডালিমের পরোক্ষ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

7.৭ নভেম্বর ১৯৭৫: সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও ডালিমের ভূমিকা

  1. পরবর্তী অভ্যুত্থান:
    • ৭ নভেম্বর, সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
    • মেজর ডালিম এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে প্রভাবিত ছিলেন, যদিও তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন না।
  2. সামরিক শাসনে সমর্থন:
    • ডালিম জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং দেশের রাজনীতিতে সামরিক শক্তির প্রভাব বজায় রাখার পক্ষে ছিলেন।
    • এই অভ্যুত্থান ছিল সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র।

বিপ্লবী হিসেবে বিতর্ক:

মেজর ডালিমের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড এবং তার অবদান সম্পর্কে কিছু বিতর্কও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে, তার ভূমিকা এবং কিছু সিদ্ধান্তের কারণে তাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে, তার মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে:

1. 1975 সালের 15 আগষ্টের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় তার বিপ্লবী সত্তা নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়। কারণ বিপ্লবীরা কখনও নিরীহদের প্রতি দমন পিড়ীন চালায় না। বিপ্লবীরা যা করে জনসম্মুখে করে ঘোষনা দিয়ে সে কাজ সম্পন্ন করে। আমরা অনেকে যতই তাকে ইতিহাসের বিপ্লবী নায়ক হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করিনা কেন সে কখনও সে নায়কের স্থান অনেকের হৃদয়ে পাবে বলে মনে হয় না।

2. ১৯৭৫ সালের পরবর্তী ঘটনাবলী: ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের বিপ্লব এবং জিয়াউর রহমানের উত্থান এর সময় মেজর ডালিমের ভূমিকা ছিল। অনেকেই তাকে নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিপ্লবী অবতার হিসেবে দেখেন, তবে তার কার্যক্রমের কিছু দিক নিয়ে অনেকের মধ্যেই অসন্তোষ ছিল।

3. সামরিক শাসন: মেজর ডালিমের কিছু কর্মকাণ্ড পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে গেছে, যা অনেকের কাছে প্রতিবাদী ছিল। অনেকেই মনে করেন যে, তার কিছু সিদ্ধান্ত স্বাধীনতার আদর্শের বিরুদ্ধে ছিল, বিশেষ করে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পর, তিনি সরকারি শাসনের মধ্যে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইন্ধন দিয়েছেন।

এখন আমরা একটু দেখার চেষ্টা করি আসলে বিপ্লবী কাদের বলা হয়। তাদের সাথে কি মেজর ডালিমের চরিত্রে মিল পাওয়া যায় কিনা?

বিপ্লবী হলো এমন ব্যক্তি, যিনি সমাজ, রাষ্ট্র, বা শাসনব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন এবং প্রায়ই প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নতুন ধারণা, নীতি, বা কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চান।

বিপ্লবীর সংজ্ঞা:

বিপ্লবী শব্দটি এসেছে “বিপ্লব” থেকে, যা একটি সুসংগঠিত ও পরিকল্পিত আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের কাঠামোগত পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ার সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বা নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি হলেন বিপ্লবী।


বিপ্লবীর বৈশিষ্ট্য:

  1. পরিবর্তনমুখী দৃষ্টিভঙ্গি:
    বিপ্লবীরা সাধারণত প্রচলিত ব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর পরিবর্তনের জন্য কাজ করেন।
  2. সাহস ও সংকল্প:
    বিপ্লবীরা অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, কারণ তারা প্রচলিত শাসন বা সমাজব্যবস্থার বিরোধিতা করেন।
  3. নেতৃত্বগুণ:
    বিপ্লবীরা প্রায়শই জনগণকে সংঘবদ্ধ করতে এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
  4. আদর্শনিষ্ঠ:
    তাদের একটি সুস্পষ্ট আদর্শ বা লক্ষ্য থাকে, যেমন স্বাধীনতা, সাম্য, বা শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা।
  5. সংগঠক:
    বিপ্লবীরা সাধারণত সুপরিকল্পিত আন্দোলন পরিচালনা করেন এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একত্রিত করেন।

বিপ্লবীর কার্যক্রম:

  1. প্রচলিত ব্যবস্থার সমালোচনা:
    তারা বিদ্যমান শাসনব্যবস্থা, সামাজিক বৈষম্য, বা শোষণমূলক কাঠামোর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করেন।
  2. আন্দোলন ও বিদ্রোহ:
    বিপ্লবীরা শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন, প্রতিবাদ, বা বিদ্রোহ পরিচালনা করেন।
  3. জনগণকে সংগঠিত করা:
    বিপ্লবীরা সাধারণত সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায় করে এবং তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলে।
  4. নতুন কাঠামো প্রবর্তন:
    তারা কেবল প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি নতুন, উন্নত, ও গ্রহণযোগ্য কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন।

বিপ্লবীর উদাহরণ:

বিশ্বব্যাপী:

  1. চে গেভারা: লাতিন আমেরিকার বিপ্লবী নেতা, যিনি কিউবার বিপ্লবের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তি।
  2. লেনিন: রুশ বিপ্লবের প্রধান সংগঠক এবং সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
  3. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র: যদিও সরাসরি বিপ্লবী না হলেও, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন।

বাংলাদেশে:

  1. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
  2. সুর্য সেন: ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন বীর বিপ্লবী।
  3. মাস্টারদা সূর্য সেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার: চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবী।

বিপ্লবীর গুরুত্ব:

  1. সমাজে পরিবর্তন আনা:
    বিপ্লবীরা সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলা বৈষম্য, শোষণ, বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পরিবর্তন আনেন।
  2. নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান:
    তারা মানুষের চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে নতুন মাত্রা যোগ করেন।
  3. ইতিহাসের নির্মাতা:
    বিপ্লবীরা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করেন।

বিপ্লবী কেবল একটি আন্দোলনের নেতা নন; তিনি একাধারে চিন্তাবিদ, সংগ্রামী, এবং ভবিষ্যতের নির্মাতা। তাদের আদর্শ, সাহস, এবং কর্মকাণ্ড সমাজকে নতুন পথে পরিচালিত করে এবং মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বিপ্লবীরা ইতিহাসের অংশ হয়ে সমাজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

এখন আমরা একটু আলোচনা করব বিপথগামী কি সেটা নিয়ে?

বিপথগামী শব্দের অর্থ হলো, যে ব্যক্তি সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে ভুল পথে চলে বা নৈতিক, সামাজিক বা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য পথ থেকে সরে যায়। এটি এমন কাউকে বোঝায়, যার কাজ, আচরণ, বা জীবনযাত্রা সঠিক মানদণ্ডের বাইরে চলে গেছে।


বিপথগামীর বৈশিষ্ট্য:

  1. নৈতিকতার বিচ্যুতি:
    তিনি সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত কাজের পরিবর্তে ভুল বা অন্যায় পথে পা বাড়ান।
  2. সমাজবিরোধী কার্যকলাপ:
    বিপথগামী ব্যক্তি প্রায়শই এমন কাজ করেন যা সমাজের নিয়ম ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
  3. উচ্চাকাঙ্ক্ষার অপব্যবহার:
    সঠিক পথ অবলম্বন না করে তারা ভুল উপায়ে তাদের লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করেন।
  4. আইন লঙ্ঘন:
    বিপথগামী ব্যক্তিরা প্রায়শই অপরাধমূলক কার্যকলাপ বা অন্যায় কাজে লিপ্ত হন।

বিপথগামী হওয়ার কারণ:

  1. পরিবারের অবহেলা:
    পারিবারিক সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে কেউ বিপথগামী হতে পারে।
  2. খারাপ বন্ধু বা পরিবেশ:
    খারাপ সঙ্গ বা নেতিবাচক পরিবেশের প্রভাব একজন ব্যক্তিকে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে দিতে পারে।
  3. অবৈধ প্রলোভন:
    অর্থ, ক্ষমতা, বা ভোগ-বিলাসের প্রতি অতিরিক্ত লোভ মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে পারে।
  4. শিক্ষার অভাব:
    সঠিক শিক্ষা বা নৈতিক জ্ঞানের অভাবে মানুষ সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বুঝতে পারে না।
  5. মনের অস্থিরতা বা হতাশা:
    মানসিক চাপ বা হতাশা অনেক সময় মানুষকে বিপথে চালিত করে।

বিপথগামীদের কার্যকলাপ:

  1. অপরাধমূলক কাজ (চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা)।
  2. মাদকাসক্তি বা মাদক পাচার।
  3. সমাজবিরোধী আন্দোলনে যোগদান।
  4. আইন লঙ্ঘন করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি।

বিপথগামীর প্রতিকার:

  1. শিক্ষা ও সচেতনতা:
    সঠিক শিক্ষা এবং নৈতিকতার শিক্ষা বিপথগামীদের সঠিক পথে আনতে সহায়ক।
  2. পরিবার ও সমাজের ভূমিকা:
    পরিবার ও সমাজের সহযোগিতা বিপথগামী ব্যক্তিকে পুনরায় সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারে।
  3. পরামর্শ ও মানসিক সহায়তা:
    কাউন্সেলিং বা মানসিক সহায়তা একজন বিপথগামী ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে।
  4. আইনগত ব্যবস্থা:
    বিপথগামীদের নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা যেতে পারে।

বিপথগামী ব্যক্তি নিজের এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, শিক্ষা, এবং মানসিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের পুনরায় সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য পরিবার, সমাজ, এবং সরকারের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার:

মেজর ডালিম, বা আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বিপ্লবী ছিলেন, তবে তার বিপ্লবী পরিচয় এবং তার কর্মকাণ্ড বিভিন্ন পর্যায়ে বিতর্কিত হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা বাহিনীর নেতা ছিলেন এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে তার পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্তের কারণে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তাই, তাকে বিপ্লবী হিসেবে শ্রদ্ধা করা হলেও, তার কর্মকাণ্ডের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে। পরিশেষে একথা বলা যায় যে, সকল কিছু অলোচনা শেষে ইতিহাসই একদিন ঠিক করবে কে বিপ্লবী আর কে বিপথগামী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme