বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জুন মাসের মাসের বেতনের এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি শুরু হয়নি। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে জুন মাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ এ সপ্তাহের বাকি রয়েছে আর মাত্র তিন দিন এবং পরবর্তী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে জুন ক্লোজিং এর ব্যাংকিং ব্যস্ততা তাতে করে যে অবস্থার অবতারণা হতে যাচ্ছে তা হলো সেই ইএফটির শুরুর যুগের সেই পুরোনো নাটকের নতুন করে আবার দৃশায়ন।
ঈদ পূর্ববর্তী মে মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা মাসের শূরুতেই পাওয়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল যে, আগামী মাস হতে হয়তবা বেতনের জটিলতা নিরসন হতে চলেছে। কিন্তু সেই ধারণা যে শুধুমাত্র ধারণা তা আবার ধীরে ধীরে প্রমাণ হতে চলেছে।
তবে একটা পুরাতন বিষয় নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে যে, মাউশি ইচ্ছা করলে সময়মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদান করতে পারে। কিন্তু তা দেয়না তা একান্ত মাউশির ইচ্ছা।
ঈদ পরবর্তী সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থা কিন্তু অত্যন্ত দৈনদশাগ্রস্থ কারণ আর বর্ণনা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। সেখানে মাস শেষ হতে চলেছে কিন্তু বেতন যদি কোমায় থাকে তাহলে তা বড়ই নিরাশার বিষয়।
বেতন যদি জুলাই মাসে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয় তাহলে তা পেতে পেতে কিন্তু ১০ তারিখ পার হয়ে যাবে মিনিমাম ১৫ তারিখ। তাহলে এই সময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের অবস্থা কি অবস্থার মধ্যে অতিবাহিত হতে চলেছে তা একবার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে একবার হৃদয়ের আবেগ অনুভুতি দিয়ে ভাববার জন্য আকুল আকুতি জানাচ্ছি।
বেতন প্রদানের প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম শেষ করতে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন তাই দয়া করে যদি এ সপ্তাহের মধ্যে বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করত মাউশি তাহলে কিন্তু জুলাই এর ১০ তারিখের পূর্বেই পাওয়া যেত নয়ত কিন্তু আবার সেই পুরোনো নিয়মে অথ্যাৎ বেতন পেতে পেতে সেই ১৫/২0 তারিখ।
পরিশেষে যে কথাটা বলব তা হল মাননীয় কর্তৃপক্ষ একটা আকুল আকুতি জানাই তা হলো আমাদের একটু মানুষ ভাবুন, ভাবুন আমাদের সমাজের বিভিন্ন চাওয়া পাওয়ায় সারা দিতে হয়। তাই আমাদের সাথে এ ধরনের প্রতিনিয়ত অবহেলার চোখে দেখবেন না আশা করি।
Leave a Reply