1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

কেন MPO শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, বোনাস সহ অন্যান্য সুবিধা পেতে এত জটিলতা?

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৭২ Time View
MPO শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, বোনাস সহজ অন্যান্য সুবিধা পেতে এত জটিলতা।

এদেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে কর্মরত চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের কাজ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল। বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে কাজ করা এ উইংয়ের দেখভাল করেন মাত্র ১৪ জন। জনবল সংকটের কারণে একদিকে বেতন ছাড় করতে যেমন বিলম্ব হয়, অন্যদিকে যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত হন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। আর এই ভোগান্তির ফল হাড়ে হাড়ে টের পায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা। মাস শেষে সময়মতো বেতন পাননা, উৎসবের সময় উৎসবের আগে উৎসব ভাতা পান না।

মাউশি জানিয়েছে, ইএমআইএস সেলের কার্যক্রম গতিশীল করতে একাধিক সভা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভার আলোচনা অনুযায়ী শিগগিরই কিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে। জনবল সংকটের বিষয়টি সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু এখন অবধি কোন উদ্যেগ গ্রহণ করেনি মাউশি। কারণ মাউশির এ জটিলতা নিরসনে তেমন কোন আগ্রহ দেখা যায় না। বা কেউ কেউ মনে করে এরকম জটিলতা তৈরী করে রাখেলেই মাউশির লাভ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সারা দেশে ২২ হাজারের বেশি বেসরকারি স্কুল-কলেজ এবং এখানে কর্মরত প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রদানের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো থেকে শুরু করে নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, ইনডেক্স ট্রান্সফারের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় ইএমআইএস সেলকে। একই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রী, পাঠ্যক্রম, শিক্ষা উপকরণ, শ্রেণী কক্ষ, অবকাঠামো ইত্যাদি নিয়েও কাজ করে মাউশির এ শাখাটি। 

এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘ইএমআইএস সেলের কার্যক্রম গতিশীল করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সভাও করেছি। তবে সব সমস্যা এখনি সমাধান করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। সেই ধাপের ধাপ কোনদিন শুরু হবে তা কেউ জানে না।

তবে এসম্পর্কে শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে আলাপকালে তারা বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। তারা বলেন এ সমস্যা মাউশি ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরী করে রেখেছে যাতে করে শিক্ষক কর্মচারীগণকে বিভিন্ন বিষয়ে ভোগান্তি তৈরি করা যায়। কারণ ভোগান্তি তৈরী করতে পারলেই না তাদের ইচ্ছামত সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবে।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সারা দেশে ২২ হাজারের বেশি বেসরকারি স্কুল-কলেজ এবং এখানে কর্মরত প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রদানের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো থেকে শুরু করে নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, ইনডেক্স ট্রান্সফারের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় ইএমআইএস সেলকে। একই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রী, পাঠ্যক্রম, শিক্ষা উপকরণ, শ্রেণী কক্ষ, অবকাঠামো ইত্যাদি নিয়েও কাজ করে মাউশির এ শাখাটি।

বিষয়টি একবার ভেবে দেখেন সারা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র ১৪ জন মানুষ আর মাউশির বিষয়টির গুরুত্ব জানার পরেও কেন ব্যবস্থা নেয়না। মাউশি যদি ইচ্ছা করে আগামীকালই এখানে জনবল বাড়ানো সম্ভব।

মাউশির ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইএমআইএস সেলে ১৪ জন কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে একজন সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট, চারজন প্রোগ্রামার, একজন করে মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার,  শিক্ষা পরিসংখ্যানবিদ, পাঁচজন সহকারী প্রোগ্রামার, সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর একজন এবং সহকারী মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে একজন করে কর্মরত রয়েছেন। যা কিনা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

ইএমআইএস সেল জানিয়েছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ছাড়াও সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নানা কাজ করতে হয় তাদের। এত কাজের চাপে নুয়ে পড়ার মতো অবস্থা তাদের। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চান তারা। জনবল বৃদ্ধির দাবি তাদের।

এ বিষয়ে ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের যে জনবল রয়েছে, এটি দ্বিগুণ করলেও যে পরিমাণ কাজের চাপ সেটা সঠিক ভাবে পরিচালনা প্রায় অসম্ভব। তারপর এখানে যদি অন্তত জনবল দ্বিগুন করা যায় তাহলে কাজের গতি বাড়ার পাশাপাশি আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে পারবো।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রয়োজনে নতুন নতুন সফটওয়ার প্রস্তুতকরণ এবং চলমান সফটওয়ারগুলোর বিভিন্ন পরিবর্তন-পরিমার্জন ও রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ ইএমআইএস সেলকে করতে হয়। মাউশির ডাটা সেন্টার ইএমআইএস সেলের ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা করা হয়।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের রক্ষণাবেক্ষণ, আইটি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, আইএমএস -এর তথ্য হালনাগাদ ও শুদ্ধিকরণে মাঠ পর্যায়ে মাধ্যমিক স্তরের সকল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ইএমআইএস সেলের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে আরও জনবল দরকার। জনবল না হলে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

উপরে আমরা যে সমস্যাগুলোর কথা পড়লাম ও বুঝলাম তা থেকে অন্ততঃ একটা বিষয় পরিস্কার যে, মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি নির্ভর করে এই ১৪ মানুষের উপর। বর্তমানে মাউশি ইএমআইএস সেল ব্যতিরেকে কোন ভাবেই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তাহলে সেখানে এই ধরনের অব্যবস্থাপনা চলছে আজ দীর্ঘদিন ধরে তারপরেও মাউশি এতদিন কেন এই সমস্যা সমাধানে উদ্যেগ গ্রহণ করেনি। নিশ্চয়ই কোন না কোন কারণ রয়েছে। সেই কারণটাই মাউশির নিকট থেকে ‍তদন্তের মাধ্যমে বের করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme