বাংলাদেশের মনে হয় সবচেয়ে অবহেলিত পেশার নাম এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। এই পেশায় আমরা যারা চাকুরী করি তারা হলেন এদেশের সবচেয়ে নিলজ্জ ও বেহায়া তা না হলে এত কিছুর পরও আমরা কোন প্রতিবাদ করিনা এতকিছুর পরও আমরা তা মেনে নেই। সামান্য পাওয়াতেই আমরা অতিশয় আনন্দিত হই।
গত ৫ অক্টোবর সরকার ঘোষণা করে যে, আমাদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রদান করবে সেই অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও এর অর্থ ০১ জানুয়ারি ২০২৫ হতে EFT-তে প্রেরণ শুরু হয়েছে। যে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও এর তথ্য, NID এর তথ্য এবং ব্যাংকের তথ্য েই ঠিক আছে এমন ১,৮৯,৯০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ ইতোমধ্যে ১ম লটে EFT-তে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অনেকের এমপিওশীটের নামের সাথে NID এর নামের ডট (.), হাইফেন (-), কমা (,) বা আক্ষরিক অমিল আছে অথবা ব্যাংক হিসাবের নাম আংশিক ভুল আছে, কিন্তু জন্মতারিখ অভিন্ন এমন ১,৫২,২২০ জন শিক্ষক- কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ ইতোমধ্যে ২য় ও ৩য় লটে EFT-তে প্রেরণ করা হয়েছে। এমপিওশীটের নাম এবং NID এর নাম অভিন্ন কিন্তু নজন্মতারিখ একই বছরে তবে অভিন্ন নয় এমন ৮,২৩৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ প্রেরণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং ৮,৮৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই এর জন্য আইবাস++ এ প্রেরণ করা হয়েছে। যারা কিনা ৫ম ধাপে তাদের বেতনের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবে। কিন্তু এখনও ৪র্থ ও ৫ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের ডিসেম্বরের বেতনের টাকা বুঝে পায়নি।
তাদের বেতন দেওয়ার পর অর্থাৎ ৪র্থ ও ৫ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীদের ডিসেম্বরের বেতন প্রদান করার পর আবার সকল শিক্ষক কর্মচারীর জানুয়ারী ২৫ এর বেতন পাবে অর্থাৎ এখন পর্যন্ত যে সকল শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতাভুক্ত হয়েছেন তারা। কিন্তু তাদের বেতন প্রদানের ব্যাপারে এখনও কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি মাউশি আজকে পর্যন্ত।
বিধায় মাউশি আবার নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যে ৪র্থ ও ৫ম ধাপ বাদেই ১ম থেকে ৩য় ধাপে যারা ডিসেম্বরের বেতন পেয়েছে তাদের জানুয়ারীর বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মতে এ সপ্তাহ শেষ নাগাদ জানুয়ারীর বেতন পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আমরা চোখের সামনে প্রতিনিয়ত দেখি যে আমাদের সাথে আমাদের কর্তৃপক্ষ লুকোচুরি খেলা খেলছে তা দেখেও কিছু বলার সাহস পাইনা বা বলতে চাই না। আমারা আমাদের বিবেকবান শিক্ষক বলে দাবী করি যা আসলেই কতটুকু সত্যি কতটুকু সত্যিনা তা বিচার তো আমি করতে পারব না তবে আপনারা নিজেরাই আপনাদের নিজের বিচার করতে পারবেন অবশ্যই। একথা গুলো কেন বললাম তাহলে একটু বলি। দেখেন আমাদের সহকর্মীরা আজ ৫ দিন হতে চলল রাস্তায় বসে আছে আমরা কতজন তাদের খবর রাখি। আমরা কতজন তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখালাম। তারা এদেশের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতি একটা নির্দেশনা দিলেন যে, অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করার কিন্তু আমরা কয়টি প্রতিষ্ঠান সে নির্দেশনা মেনে চলেছি বলতে পারেন। যাক এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলবনা শুধু একটা কথা বলব তা হলে মনে রাখবেন আপনার বিবেকই আপনর শ্রেষ্ঠ বিচারক।
Leave a Reply