1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

বিন্দু বিন্দু শিক্ষকরা একত্রিত হলেই আন্দোলনের সিন্ধু গড়ে উঠবে।

  • Update Time : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১১৮ Time View
শিক্ষকএমপিওভুক্ত শিক্ষকএমপিওiBas++ইএফটিএমপিওভুক্তEFTবাংলাদেশআমলাবেসরকারি শিক্ষক
শিক্ষক আন্দোলন

“বিন্দু বিন্দু শিক্ষকরা একত্রিত হলেই আন্দোলনের সিন্ধু গড়ে উঠবে”—এই কথাটি শিক্ষকদের আন্দোলন ও তাদের অধিকার আদায়ের প্রেক্ষিতে উদ্বীপনা সৃষ্টি করার জন্য একটি প্রেরণাদায়ক লাইন। এর মধ্যে একদিকে শিক্ষকদের একতার শক্তি, সংগ্রামের ধারা এবং অন্যদিকে ছোট থেকে বড় আন্দোলনের প্রকৃতির গুরুত্ব নিহিত রয়েছে। আসুন, আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি কেন এটি সত্য এবং কীভাবে এটি কার্যকর হতে পারে।

১. শিক্ষক সমাজের শক্তি ও গুরুত্ব:

শিক্ষকরা একটি সমাজের মুল স্তম্ভ এবং তাদের কাজ জাতি গঠন, শিক্ষা, সমাজের উন্নয়ন ও নৈতিকতা গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে, সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরি করে এবং জাতির ভবিষ্যত তৈরি করতে সহায়তা করেন। শিক্ষকরাই তাদের ছাত্রদের সবসময় শিক্ষা দেয় যে, একতাই বল। একা একা কিছুই হয় না কিন্তু অনেকগুলো এক যদি একসাথে হয় তাহলে আর তখন এক থাকে না তার অর্থ অন্য কিছু দাঁড়ায়। তাই শিক্ষকরা যদি একত্রিত হয়ে তাদের দাবির জন্য সংগ্রাম করেন, তবে তা শক্তিশালী আন্দোলনে পরিণত হতে পারে।

একতার শক্তি:

  • একটি শিক্ষকের একক পদক্ষেপ অনেক সময় ক্ষুদ্র হলেও তার প্রচেষ্টা, কাজের ধরন এবং অঙ্গীকার অন্য শিক্ষকদের প্রভাবিত করতে পারে। একজন শিক্ষক যখন তার অধিকার আদায়ের জন্য কথা বলেন, তখন তিনি প্রায়ই সহকর্মীদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠেন। তার এই উদ্যোগে অন্যরা যোগদান করলে তা একটি বৃহৎ আন্দোলনে পরিণত হতে পারে।
  • “বিন্দু বিন্দু” কথার মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে, এক একটি ছোট দাবি, এক একটি ছোট পদক্ষেপ, এক একটি ছোট কর্মসূচি থেকেই একসময় বড় আন্দোলনের সূচনা হয়। শিক্ষকদের একতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা থেকেই এই ধরনের বৃহত্তর পরিবর্তন সম্ভব। একজন একজন করে নিজ দায়িত্ব থেকে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব।

২. ছোট দাবির আন্দোলন বড় পরিসরে প্রভাব ফেলতে পারে:
শিক্ষকদের আন্দোলন প্রাথমিকভাবে ছোট কিছু দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। তবে এই দাবিগুলি যদি বৃহৎ জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং সেগুলোর মধ্যে যদি বড় আকারে জনগণের সমর্থন থাকে, তবে তা অল্প সময়ের মধ্যেই একটি বৃহৎ আন্দোলনে পরিণত হতে পারে।

যেমন:

  • শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, কর্মঘণ্টার সমতা, অবসর সুবিধা, অধিকার সংরক্ষণ ইত্যাদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি যা শুরুর দিকে এক বা একাধিক শিক্ষক বা গোষ্ঠী তুলে ধরতে পারে। এই দাবিগুলি কখনো ছোট, কখনো বড়, তবে যদি আন্দোলনটির মূল উদ্দেশ্য স্পষ্ট থাকে, তবে সেটি ধীরে ধীরে বৃহত্তর আকার ধারণ করতে পারে।
  • নাটকীয় আন্দোলন, হরতাল বা সমাবেশ করতে থাকলে সমাজে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আন্দোলনটির জন্য সমর্থন তৈরি হবে। একে একে অন্য শিক্ষকরা, এমনকি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও যোগ দিতে পারেন।

৩. সম্মিলিত উদ্যোগে সাফল্য অর্জন:

এমনকি শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বা ছোট ছোট উদ্যোগ যদি একত্রিত হয়, তবে তা বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। সমাজে সচেতনতা তৈরি হয় এবং আরো মানুষ, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সমর্থন পেতে পারে।

অফিসিয়াল সাপোর্ট ও পাবলিক সমর্থন:

  • আন্দোলনের শুরুতে হয়তো এটি খুব ছোট, তবে যদি শিক্ষকরা তাদের দাবি যথাযথভাবে উপস্থাপন করেন, এবং প্রমাণ সহ তা জনমনে পৌঁছাতে সক্ষম হন, তখন সরকার বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সাড়া আসবে। শিক্ষকদের শিক্ষাগত মান, তাদের শ্রম, প্রতিনিয়ত কাজের চাপ—এই সব বিষয় যখন জনসাধারণের সামনে আসবে, তখন তারা এই দাবিগুলির সমর্থনে এগিয়ে আসতে পারে।
    গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করলে আন্দোলন আরো বৃহৎ আকার ধারণ করবে এবং এর প্রচার হবে ব্যাপক।

৪. শিক্ষকদের সামাজিক দায়িত্ব এবং আন্দোলন:

শিক্ষকরা সামাজিকভাবে খুবই প্রভাবশালী এবং তাদের কথা সমাজে গুরুত্ব সহকারে শোনা হয়। যখন তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দাবি তোলেন, তখন সেটি কেবল শিক্ষকদের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন হয়ে ওঠে। কারণ, শিক্ষকদের উন্নতি, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, সরকারের শিক্ষানীতি উন্নয়ন—এসবই সমাজের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

দাবি তোলার সামাজিক গুরুত্ব:

  • যদি শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, কর্মঘণ্টা ও আর্থিক সুবিধা বর্ধিত হয়, তবে তা শিক্ষার মানোন্নয়ন করবে। শিক্ষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা তাদের কাজের প্রতি মনোযোগ এবং প্রতিশ্রুতি বাড়ায়।
  • এমনকি যদি আন্দোলনটি কোনো কৌশলগতভাবে শিক্ষার মান বৃদ্ধির পক্ষে চলে, তখন সমাজের সাধারণ মানুষও তা সমর্থন করবে, কারণ শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেলে জাতি উন্নত হবে।

৫. সময়ের সাথে আন্দোলন শক্তিশালী হবে:

“বিন্দু বিন্দু” পরিভাষা দিয়েই বোঝানো হচ্ছে যে, শুরুতে আন্দোলন খুব ছোট হতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে, যতই আন্দোলনের প্রতি যদি আমাদের আগ্রহ বাড়ে তাহলে আমার দেখাদেখি অন্যদের সমর্থন বাড়বে, আন্দোলনটি শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং তার দাবি পূরণে গতি আসবে। আন্দোলনটি এক সময় সারা দেশের শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং জনগণের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।

আমাদের হাতের কাছেই আছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহারণ। আছে একটি সফল আন্দোলনের জীবন্ত উপমা। আমাদের দেশে যখন বৈমম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় তখন কি কেউ ভেবেছিল যে, এই আন্দোলন এই রূপ ধারণ করবে। এই আন্দোলন একটি ফ্যাসিবাদি শক্তিকে পরাভুত করে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করবে। যখন বৈষমীবিরোধী আন্দোলন শরু হয় তখন এটি ছিল মুলত কোটাবিরোধী আন্দোলন পরবর্তীতে তা সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণের কারণ সাধারণ জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলনের দুরুন একটি ফ্যাসিবাদি শক্তির পরাজয় হয়।

এটা থেক আমরা যে শিক্ষা পাই তা হল যে, কোন আন্দোলনকে যদি আমরা সঠিক ভাবে প্রবাহিত করতে পারি তাহলে তা থেকে অধিকার আদায় হবেই হবে। তবে সেখানে সকলের অংশগ্রহণ না হলেও অধিকাংশের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অংশগ্রহন যত বেশি হবে আন্দোলন তত বেশি ভয়ংকর হবে।

পরিশেষে যে কথা বলতে চাই তা হলঃ
“বিন্দু বিন্দু শিক্ষকরা একত্রিত হলেই আন্দোলনের সিন্ধু গড়ে উঠবে।”—এই কথাটি আন্দোলনের স্বরূপ বুঝানোর জন্য অত্যন্ত যথার্থ। এক বা কয়েকজন শিক্ষক তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করলে, সেই আন্দোলন ছোট হলেও একে একে অনেক শিক্ষক তার সাথে যোগ দিবে এবং সেটি এক সময় জাতীয় বা জাতীয় পর্যায়ের বৃহৎ আন্দোলনে পরিণত হবে।

একতা, সংগ্রাম, সময়ের সাথে ধৈর্য এবং প্রক্রিয়া এসব উপাদান মিলিয়ে, শিক্ষকদের সংগ্রাম সাফল্য পেতে পারে। একে একে, বিন্দু থেকে বড় সিন্ধু হবে, যা শিক্ষক সমাজের জন্য সামাজিক ও পেশাগত অধিকার নিশ্চিত করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme