1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
February 3, 2025, 6:30 pm
Title :
এ সপ্তাহের মধ্যেই ৩য় ধাপের ৮৪ হাজারের অধিক এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাবে। স্কুল কলেজের শিক্ষকদের জন্য কিছু একটা করার চিন্তা করছে সরকার-অর্থ উপদেষ্টা। মাউশি ইচ্ছা করলেই ইএফটির এ অব্যবস্থাপনার সমাধান করতেই পারত। ৪র্থ ধাপের ইএফটির পেমেন্ট তালিকা প্রকাশ এ সপ্তাহে। প্রিয় মাউশি ও শ্রদ্ধেয় মাননীয় উপদেষ্টা আজ কিন্তু ফেব্রুয়ারী মাসের ২ তারিখ। আজ থেকে শুরু ৩য় ধাপের বেতনের অপেক্ষা ও অন্যান্যদের সংশোধনের অপেক্ষা। কারিগরি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি প্রসংগে কিছু কথা। কার কতটুকু কি কি সংশোধনী লাগবে দ্রুত তা দৃশ্যমান করুন।সময় লাগবে তো? ইএফটি সিষ্টেম কতটুকু জটিল ও আইবাস++ ভেরিফিকেশন কতটুকু নিরাপদ বিন্দু বিন্দু শিক্ষকরা একত্রিত হলেই আন্দোলনের সিন্ধু গড়ে উঠবে।

সরকারের মহার্ঘ ভাতা না দেওয়ার যৈক্তিকতা কতটুকু সাহসী সিদ্ধান্ত?

  • Update Time : Friday, January 24, 2025
  • 1 Time View

মহার্ঘ ভাতা (Cost of Living Allowance – COLA) প্রদান না করার ক্ষেত্রে কিছু যুক্তি থাকতে পারে, তবে তার সঙ্গে সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা এবং সরকারি চাকরিজীবীদের প্রয়োজনীয়তার তুলনা করে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। সাধারণত, মহার্ঘ ভাতা একটি ধরনের অতিরিক্ত অর্থ, যা সরকারি চাকরিজীবীদের জীবনযাত্রার ব্যয় বা মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী বৃদ্ধি করা হয়। তবে, কিছু যুক্তি থাকতে পারে, যা সরকারের পক্ষ থেকে মহার্ঘ ভাতা না দেওয়ার পক্ষে বলা হয়ে থাকে:

১. জাতীয় অর্থনীতি এবং বাজেটের সংকট:

  • মহার্ঘ ভাতা প্রদান সরকারের বাজেটের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রীয় কোষাগারের আয় সীমিত থাকে।
  • সরকার যদি মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করে, তবে এটি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয়ের জন্য সীমিত সম্পদ সংকুচিত করে ফেলতে পারে, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি।

২. মূল্যস্ফীতি এবং পণ্যের দাম:

  • যদি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং বাজারে মূল্যবৃদ্ধি না হয়, তাহলে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা কম হতে পারে।
  • তবে, যদি মূল্যস্ফীতি অনেকটা বেড়ে যায় এবং সাধারণ জনগণের জন্য জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়, তাহলে মহার্ঘ ভাতা প্রদান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

৩. সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা:

  • অনেক সময় বলা হয় যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া এবং তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যাপ্ত থাকলে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না।
    অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলি যেমন: পেনশন, চিকিৎসা সুবিধা, প্রফেশনাল ট্রেনিং ইত্যাদি তারা অন্যান্য কারণে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে।

৪. বেসরকারি সেক্টরের মধ্যে পার্থক্য:

  • যখন সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়, তখন অনেকের মনে হতে পারে যে এটি বেসরকারি সেক্টরের কর্মীদের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বেশি হতে পারে, যা সমাজের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে।
  • সরকারি চাকরির তুলনায় বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো এবং সুবিধা কিছুটা কম থাকলেও, তাদের ক্ষেত্রেও মূল্যস্ফীতির চাপ থাকতে পারে, যা শ্রমিকদের মাঝে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।

৫. দীর্ঘমেয়াদী সংকট এবং ধীর প্রকৃতির পরিবর্তন:

  • দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সংকট এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
  • দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বুঝে মহার্ঘ ভাতা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

৬. প্রক্রিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপের অভাব:

  • অনেক সময় সরকার বা কর্তৃপক্ষকে প্রক্রিয়াগত সমস্যা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার দীর্ঘসূত্রিতা মোকাবেলা করতে হয়। অর্থাৎ, নতুন পদক্ষেপ নেওয়া অথবা বাজেট সমন্বয় খুব সহজ নয় এবং এর জন্য বিভিন্ন দিক থেকে পর্যালোচনা করতে হয়।

যদিও মহার্ঘ ভাতা না দেওয়ার অনেক যুক্তি থাকতে পারে, তবুও এটি এমন একটি বিষয় যা যদি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যস্ফীতি, এবং জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় মেনে না চলে, তবে সরকারের পক্ষ থেকে মহার্ঘ ভাতা প্রদান অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। জনগণের এবং সরকারি চাকরিজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যে একটি সঠিক সমন্বয় প্রয়োজন। তবে একথা একবাক্যে বলা যায় যে, এটি বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের একটি সাহসী সিদ্ধান্ত। এ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা সরকারের অনেক ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমালোচনা করেছি। তার মধ্যে একটি হলো দুর্বল সিদ্ধান্ত গ্রহণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনেক বেশি হেজিটেড ফিল করে। কিন্তু এই প্রথম দেখা গেল একটি সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে। সাহসী এজন্য বলছি যে, এদেশের পরাক্রমশালী আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া এত সহজ নয়। এদেশের আমলাতন্ত্র কখনও সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। যদি ভাবত তাহলে এমন সময় এমন একটা প্রস্তাব সরকারের কাছে পেশ করতেই পারত না।

যাই হোক এই প্রথম দেখলাম আমাদের দেশের সরকার জনগণের কথা ভেবে জনগণের সুবিধার কথা ভেবে একটা সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকার অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। মহার্ঘ ভাতা প্রদান করলে মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক লোক বা মুষ্টিমেয় কিছু সংখ্যক পরিবার এর সুবিধা ভোগ করবে অথ্যাৎ যারা সরকারী বা আধাসরকারী চাকুরী করে তার। কিন্তু এদেশের সবাই তো আর চাকুরী করে না তাদের জন্য তো কোন ভাতা বরাদ্দ হবে না। তাহলে তারা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ফলে অতিরিক্ত যে মূল্যস্ফীতি ঘটবে সে চাপ তারা কিভাবে সহ্য করবে। এমনিতে মুল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবন যাপন অনেক কষ্টসাধ্য করে তুলেছে এর পরে যদি আরও মুল্যস্ফীতি ঘটে তা এদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সহ্যের সীমার বাইরে চলে যাবে।

হ্যাঁ তবে একটা কথা না বলে পারছি না যে, এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নিতে হত কারণ ইতিমধ্যেই মহার্ঘ ভাতার দেওয়ার কথা কানাঘুষা হওয়ার ফলে রীতিমতো বাজারে এর প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে। তাই এই বিষয়ে আমলারা যখন প্রথম প্রস্তাব দেয় তখনই এই বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা আরও অনেক ভাল হতো। তাই আবারও বলছি ধন্যবাদ মাননীয় প্রধান উপদেষ্ট ধন্যবাদ প্রফেসর ইউনুস সাহেব আপনকে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

পরিশেষে একটা কথা বলি মহার্ঘ ভাতা দিলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে উপকৃত হতাম ঠিকই কিন্তু প্রতিবেশীর হাহাকার শুনতে হতো। আমার একার জন্য তো আমি আমার শত প্রতিবেশির হাহাকার শুনতে রাজি নই। আমার একথা হয়ত আমার অনেক সহকর্মীর পছন্দ হবে না তারা হয়ত মনে মনে বা প্রকাশে গালমন্দ করবেন। তারপর আমি বলব এটি এ সরকারের অনেক ভাল সিদ্ধান্তের মধ্যে এটি অন্যতম।

আর একটা অনুরোধ করব এখন হয়ত পরিবেশ পরিস্থিতি মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য অনুকুল নয় তাই বলে সারাজীবন প্রতিকুল থাকবে না। তাই অনুকুল পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সময়মতো মহার্ঘ ভাতা হোক বা অন্য কোন উপায়ে হোক আমরা যারা এদেশের জন্য কাজ করি তাদের কোন কোন ব্যবস্থা করবেন আশা রাখি। কারণ বর্তমান অবস্থায় আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme