বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কমর্রত এমপিওভুক্ত ৩ লক্ষ আশি হাজার শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১ম ধাপে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান করে ইএফটির মাধ্যমে। তারই ধারাবাহিকতায় গত১৯ তারিখে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি)-এর মাধ্যমে বেতনের পেমেন্ট লিষ্ট প্রকাশ করেছেন মাউশি কর্তৃপক্ষ। তবে বেতনের অর্থ এখনো ব্যাংকে জমা হয়নি। ফলে এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন তুলতে পারেননি তারা।
৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার অর্থ ব্যাংকে জমা না হওয়ার কারণ জানতে ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গিয়েছে তা হল। তারা বলছেন, বেতনের অর্থ ব্যাংকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে কাজ চলছে। শিগগিরই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অর্থ ব্যাংকে পাঠানো হবে।
জানতে চাইলে ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট খন্দকার আজিজুর রহমান আজ বুধবার বলেন, ‘যে সকল শিক্ষক-কর্মচারী বেতন পাবেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইএমআইএস সেলের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাওয়ার প্রসেসটা এখনো সম্পন্ন হয়নি। এটি সম্পন্ন হতে আরও একটু সময় লাগবে। আইবাস++ সফটওয়্যারে কাজ চলছে। আশা করছি আগামী দুই/একদিনের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অর্থ ব্যাংকে পাঠানো সম্ভব হবে।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে দুই একদিন দুই একদিন করে আর কতদিন চলবে। পেমেন্ট তালিকা দেওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ব্যাংকে টাকা না যায় তাহলে তো ভবিষ্যতে আমাদের জন্য আরও কি অপেক্ষা করছে তা মহান সৃষ্টি কর্তাই জানে। আমাদের বেতনের নানা প্রকার বিড়ম্বনার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল কিন্তু সেই ব্যবস্থাও যদি এত বিড়ম্বনা মুলক হয় তাহলে আর কি বলব। এগ এনালগ সিষ্টেমের নানাবিধ ভোগান্তির হত।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। এর মধ্যে প্রথম ধাপে এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটিতে বেতন পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী বেতনের মেসেজ পেয়েছেন। সে হিসেবে এখনো বেতনের বাইরে রয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। দ্রুত বেতনের দাবি জানিয়েছেন বেতন না পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এখন অবস্থার পরিপেক্ষিতে যা বোঝা যাচ্ছে তা হল আগামী রবি বা সোমবার নাগাদ আমাদের বেতন ব্যাংকে জমা হতে পারে আশা করা যাচ্ছে।
Leave a Reply