৩ লক্ষ আশি হাজার শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ১ম ধাপে ১,৮৯,০০০ শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির মাধ্যমে তাদের বেতন নিজ নিজ একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে। কিন্তু সকল শিক্ষক কর্মচারী বেতন একসাথে দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে গত ১৯ তারিখে রোজ রবিবার আরও ৬৭ হাজার এর কিছু বেশি সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারীর ২য় ধাপে বেতন প্রদানের জন্য পেমেন্ট তালিকা মাউশি প্রকাশ করে। তালিকা নাম দেখে সবাই কমবেশি আত্মহারা হয়েছি কিন্তু এ-ই আনন্দ তো আস্তে আস্তে মলিন হতে শুরু করেছে কারণ তালিকা দিয়ে তো আর পেট ভরে না পেট ভরার জন্য চাই অর্থ যা এখনও একাউন্টে আসে নি। তাহলে কি তালিকা দেখিয়ে আমাদের সাথে ছেলেভোলানো খেল খেলা হল না। আমরা কি এই দেশের কাছে এতই খেলনার পাত্র। যে যখন তখন আমাদেরকে নিয়ে ইচ্ছামত খেলা যায় ইচ্ছা মত আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আর কতকাল এভাবে চলবে। কোন কালেই কি আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। কোনদিন আমাদের বৈষম্য দুরীকরণ হবে।
এরপর আবার নতুন করে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়ে যে, ৩য় ধাপে আরও কিছু শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু বলা হয়নি যে, কতজনের বেতন দেওয়া হবে, কাদের বেতন দেওয়া হবে। বিশেষ সুত্রে জানা গিয়েছে যে যাদের নামের একটি অক্ষরের সমস্যা তাদের বেতন প্রদান করা হবে। কিন্তু সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি যে কতদিনের মধ্যে দেওয়া হতে পারে। কতদিনের মধ্যে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ হবে।
তারপরও থাকল বাকি আরও ১ লক্ষ্যের উপর কর্মচারী। তাদের ভাগ্যে যে কি লিখা আছে কতদিনের মধ্যে তারা বেতন পাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এভাবে অবহেলা মনে হয়ে শুধু এমপিওভু শিক্ষক কর্মচারীর ভাগ্যের জোটে। তবে এটুকু বলা যায় যে, এমপিও শীটের নাম ও জন্ম তারিখের সাথে যাদের NID এর নাম ও জন্ম তারিখের অক্ষর বা সংখ্যাগত অমিল রয়েছে বা ব্যাংকের তথ্য ভুল আছে তাদেরকে অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তথ্য সংশোধন করে প্রেরণ করতে হবে। অন্যথায় তাদের অর্থ প্রেরণ করা সম্ভব হবে না। যাদের ব্যাংকের তথ্য ভুল আছে তাদের ব্যাংক থেকে তথ্য সংশোধন করতে হবে। যাদের NID তে ভুল আছে তাদেরকে নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য সংশোধন করতে হবে। আর যাদের এমপিও শীটে তথ্য ভুল আছে তাদেরকে অনলাইনে আবেদন করে এমপিও এর তথ্য সংশোধন করতে হবে।
মাউশি থেকে আরও যে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা হল, বিধি বহির্ভুতভাবে বা জোড়পুর্বক কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর পদত্যাগ, অস্তিত্ব নেই বা বরখাস্ত হিসেবে তথ্য প্রদান করা হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করে EFT এর জন্য তথ্য সংযোজন করার উদ্যোগ নিতে পারেন।
কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর NID না থাকলে তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করে EFT এর জন্য তথ্য সংযোজন করার উদ্যোগ নিতে পারেন।
আসল কথা হল এমপিও এর অর্থ EFT তে পেতে হলে এমপিও শীটের নাম ও জন্ম তারিখের সাথে NID এর নাম ও জন্ম তারিখের শতভাগ মিল থাকতে হবে। সেই সাথে ব্যাংকের তথ্য সঠিক থাকতে হবে।
পরিশেষে এখন একথা বলা যায যে, এখন আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। এবং পাশাপাশি ভাবতে সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে, কোন কোন তথ্য সংশোধন করতে হবে কিভাবে
Leave a Reply