1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

সহিংসতা আমাদের কাম্য নয়?

  • Update Time : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ Time View

সহিংসতা আমাদের কাম্য নয়। এই বক্তব্যটি মানুষের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি এবং সমাজের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এর গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত দেয়। সহিংসতা যে কোনো ধরনের শারীরিক, মানসিক বা সামাজিক আক্রমণ যা একজন বা একাধিক মানুষের জন্য ক্ষতিকর, তা মানবতা এবং সমাজের উন্নতির জন্য কখনই কাম্য হতে পারে না।

সহিংসতা কেন কাম্য নয়?

  1. মানবাধিকার ও নৈতিকতা:
  • সহিংসতা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবিক মর্যাদার বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপনের। সহিংসতা সেই অধিকারকে লঙ্ঘন করে এবং মানুষকে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
  • নৈতিকভাবে, সহিংসতা অন্যদের প্রতি অধিকারহীন আচরণ এবং বিপর্যস্ত মূল্যবোধ প্রদর্শন করে। শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সংলাপের মাধ্যমে যে কোনো সমস্যা সমাধান করা উচিত।
  1. সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি:
  • সহিংসতা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে এবং পুনঃনির্মাণের পরিবর্তে ধ্বংস ঘটায়। এটি সমাজের মধ্যে বিশ্বাস এবং সম্প্রীতি নষ্ট করে, যা মানুষের মধ্যে বিভেদ এবং ঊষ্ণতা সৃষ্টি করে।
  • সহিংসতা সাধারণত বিভাজন এবং অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করে, যা একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস এবং শত্রুতা তৈরি করে।
  1. শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি:
    সহিংসতা শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারে, মানসিক আঘাত দিতে পারে এবং মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। একজন ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য, সহিংসতার পরিণতি দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। এটি মানসিক ট্রমা, অবসাদ, আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • সহিংসতার শিকার ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাদের মানসিক সুস্থতা এবং সামাজিক নিরাপত্তা হারাতে পারে, যা তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে।
  1. দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি:
  • সহিংসতা শুধুমাত্র একটি ক্ষণস্থায়ী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তবে তার দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল অনেক বেশি বিপজ্জনক। যুদ্ধ, দাঙ্গা, বা যে কোনো ধরনের সহিংসতা সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংস করে, এবং প্রজন্মের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে।
  • সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে সহিংসতা নষ্ট করে, যা একটি দেশ বা সমাজের উন্নয়ন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
  1. সমাধান নয়, আরও সমস্যা সৃষ্টি করা:
  • সহিংসতা কোনো সমস্যার সমাধান নয় বরং অন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি যত বেশি মানুষের ক্ষতি করবে, তত বেশি ক্ষতিকর পরিণতি সৃষ্টি করবে। সমস্যার সমাধান সংলাপ এবং বিশ্বস্ততার মাধ্যমে করা উচিত, যেখানে সব পক্ষের মতামত এবং অধিকারকে সম্মান করা হয়।
    সহিংসতা শক্তির ব্যবহার হতে পারে, কিন্তু শক্তির ব্যবহার সাধারণত স্থায়ী সমাধান নিয়ে আসে না। বরং, এটি পরবর্তী সময়ে আরও বিষাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

সহিংসতার বিকল্প কী?

  1. সংলাপ ও আলোচনা:
  • সহিংসতার পরিবর্তে, সমাধান খোঁজা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপ এবং আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মতামত শোনা এবং মীমাংসা করার জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় গ্রহণ করা উচিত। এটি সমাজের মধ্যে বেশি সমঝোতা এবং সম্প্রীতি সৃষ্টি করে।
  1. ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা:
  • সহিংসতা দূর করতে ধৈর্য এবং সহিষ্ণুতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মধ্যে সহিষ্ণুতা এবং বিবেকবোধ থাকার মাধ্যমে অসহমত বা বিভিন্নতা সহজে সমাধান করা সম্ভব। একে অপরকে বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে এবং ধৈর্যসহকারে শোনা উচিত।
  1. শিক্ষা ও সচেতনতা:
  • শিক্ষা এবং সচেতনতা সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। মানুষ যদি জানে যে সহিংসতার ফলে কিভাবে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয় এবং কিভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করা যায়, তবে সহিংসতার প্রতি তাদের মনোভাব পরিবর্তিত হবে।
  1. অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা:
  • অধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। মানুষ যখন তাদের অধিকার এবং ন্যায় সঠিকভাবে পায়, তখন সহিংসতার প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে সহিংসতা কমানো সম্ভব।
  • উপসংহার:
    সহিংসতা কোনো পরিস্থিতিতে কখনই কাম্য নয়। এটি শুধু ক্ষতি সৃষ্টি করে এবং সমাজের শান্তি, উন্নয়ন এবং সুখের পথে একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শান্তিপূর্ণ সমাধান, সংলাপ, এবং সহিষ্ণুতা সবসময় সহিংসতার চেয়ে বেশি ফলপ্রসূ এবং মানবিক। আমাদের উচিত সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং শান্তিসম্প্রীতির পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme