1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
Title :
সরকারী চাকুরীজীবিদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা। আন্দোলনে সকলের প্রাপ্তির খাতা ভরা, কেবল এমপিওভুক্ত শিক্ষক ছাড়া। কিন্তু কেন? নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যা জানালো মাউশি। সরকারী শিক্ষক কর্মচারী বনাম এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী! এ কেমন বৈষম্য? এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারির বেতন ও বোনাস নিয়ে মাউশির আশ্বাস। ইএফটির ৫ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীর বেতনের খবর। সংশোধনের পরিপূর্ণ নির্দেশিকা ১০০% Authentic. এই এডিট অপশন কতটুকু সাহায্য করবে সংশোধনীর জন্য? সংশোধন কিন্তু সবার লাগবে তবে…… এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী সুযোগ সুবিধা কতটুুকু বাড়ছে?

কেমন ছিল ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসন আমল?

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৫ Time View

১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় ছিল, এবং বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ের শাসনামল ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মিশ্র অভিজ্ঞতায় পূর্ণ।

১৯৯১-১৯৯৬: বিএনপির শাসনামলের প্রধান দিকগুলো

১. গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা

  • ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটের মাধ্যমে একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
  • বিএনপি সরকার সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে, যেখানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়। এটি গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।

২. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ

  • এই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে। সরকার বৈদেশিক ঋণ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হয়।
  • জিডিপি প্রবৃদ্ধি: প্রতি বছর গড়ে ৪-৫% ছিল, যা উন্নয়নশীল দেশের জন্য ইতিবাচক।
  • বেসরকারিকরণ: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বেসরকারিকরণ শুরু হয়, যা অর্থনৈতিক উদারীকরণের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
  • কৃষি খাত: কৃষি উৎপাদন বিশেষত ধান এবং অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং সেচের প্রসার ঘটে।

৩. অবকাঠামো উন্নয়ন

  • গ্রামীণ অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়। তবে, এই উন্নয়ন শহর-কেন্দ্রিক ছিল এবং গ্রামাঞ্চলে বৈষম্য ছিল লক্ষ্যণীয়।
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যেমন মেয়েদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার।

৪. রাজনৈতিক সংকট ও দুর্নীতির অভিযোগ

  • বিএনপি সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং প্রতিপক্ষকে দমন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
  • বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারের বিরুদ্ধে বারবার হরতাল এবং আন্দোলন হয়।
  • প্রশাসনে দুর্নীতির অভিযোগ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে সরকারি কেনাকাটা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে।

৫. শিক্ষাখাতে উন্নয়ন ও সীমাবদ্ধতা

  • শিক্ষা খাতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। যেমন, নারী শিক্ষার প্রসারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
  • তবে শিক্ষার মান এবং উচ্চশিক্ষায় গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়নি।

৬. আইনের শাসন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি

  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার, বিরোধীদের গ্রেপ্তার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
  • সাংবাদিকদের উপর চাপ এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করার চেষ্টাও সমালোচিত হয়েছিল।

৭. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত

  • বিদ্যুৎ খাতে সংকট ছিল বিএনপি সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি জনগণের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ক্ষেত্রে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট ছিল না।

৮. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

  • বিএনপি সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছিল, যদিও তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে অমীমাংসিত ইস্যু থেকেই যায়।
  • মধ্যপ্রাচ্য এবং চীনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে মনোযোগী হয়।

রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতা হস্তান্তর

১৯৯৪ সালে উপ-নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে বিরোধী দল (আওয়ামী লীগ) সংসদ বর্জন করে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানায়। বিরোধী দলের আন্দোলন ক্রমে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।

  • ১৯৯৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছায়। বিরোধী দলের লাগাতার হরতাল ও অবরোধের ফলে বিএনপি সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
  • ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিরোধী দল। একতরফা এই নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে, কিন্তু এটি দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
  • চাপে পড়ে খালেদা জিয়া সরকার পদত্যাগ করে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।

বিএনপির শাসনামলের সমালোচনা

  • দুর্নীতি: প্রশাসনিক দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ব্যাপক ছিল।
  • রাজনৈতিক সহিংসতা: বিরোধী দল দমন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে।
  • দুর্বল প্রশাসনিক সক্ষমতা: অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিদ্ধান্তহীনতা বা অদক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
  • গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দুর্বলকরণ: নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

উপসংহার

১৯৯১-১৯৯৬ সালের বিএনপির শাসনামল গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক হলেও রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে সমালোচিত হয়। এই সময়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার একটি ভিত্তি স্থাপিত হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme