1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

ইসকন কে বা কারা?

  • Update Time : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ Time View

ইসকন (ISKCON) বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস হলো এক আন্তর্জাতিক হিন্দু ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সংগঠন। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তি ও চেতনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এবং ভক্তি আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। ইসকনকে সাধারণত “হরে কৃষ্ণ আন্দোলন” নামেও পরিচিত।

প্রতিষ্ঠা:

ইসকন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ, যিনি ভক্তি আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন।

উদ্দেশ্য ও দর্শন:

ইসকনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি নিবেদিত করা এবং বৈদিক দর্শনের মাধ্যমে মানুষকে আধ্যাত্মিক জীবনের দিকে নিয়ে যাওয়া। এর দর্শনের ভিত্তি হচ্ছে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ও শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের শিক্ষাগুলো।

ইসকনের মূল দর্শনগুলো হলো:

  1. ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সর্বোচ্চ ঈশ্বর।
  2. ভগবানের প্রতি প্রেমভক্তি ও সেবা মানুষকে মুক্তি এবং পরম শান্তি দিতে পারে।
  3. বৈদিক জ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রচার এবং রক্ষা করা।

কার্যক্রম:

ইসকনের কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  1. হরিনাম সংকীর্তন: রাস্তায় বা মন্দিরে “হরে কৃষ্ণ হরে রাম” মন্ত্রের গাওয়া।
  2. আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রদান: বৈদিক গ্রন্থ অধ্যয়ন এবং ভাগবত গীতার আলোচনা।
  3. মন্দির স্থাপন: বিশ্বজুড়ে ইসকনের অসংখ্য মন্দির রয়েছে, যেখানে কৃষ্ণ ভক্তি ও আচার-অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।
  4. প্রসাদ বিতরণ: দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, যা “ফুড ফর লাইফ” প্রোগ্রামের অংশ।
  5. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গঠন: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে কৃষ্ণ ভক্তিতে যুক্ত করা।

ইসকন বাংলাদেশ:

বাংলাদেশেও ইসকনের মন্দির ও কার্যক্রম রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ইসকন মন্দিরগুলোর মধ্যে ঢাকার স্বামীবাগ ও সিলেটের মন্দির উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে ইসকন মূলত বৈষ্ণব দর্শন প্রচার, হরিনাম সংকীর্তন এবং মানবসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সমালোচনা ও বিতর্ক:

ইসকন সংগঠন অনেক জায়গায় বিতর্কিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিরোধ, সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, এবং তাদের ধর্ম প্রচারের পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। তবে ইসকন ভক্তি আন্দোলন এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি বড় বৈশ্বিক ভক্ত সম্প্রদায় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

উপসংহার:

ইসকন কেবল একটি ধর্মীয় সংগঠন নয়, এটি একটি জীবনদর্শন এবং আধ্যাত্মিক চর্চার আন্দোলন। তাদের মূল বার্তা হলো ভগবানের প্রতি ভক্তি, শান্তি, এবং মানব সেবার মাধ্যমে জীবনকে অর্থপূর্ণ করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme