বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে বড় পরিবর্তন আসছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব নিয়োগ পরিচালনা হতো প্রতিষ্ঠান ও পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে। এবার সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভবিষ্যতে এসব পদে নিয়োগ দেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব হেলালুজ্জামান সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব দীপায়ন দাস শুভসহ এনটিআরসিএ ও টেলিটকের কর্মকর্তারা।
অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান সভা শেষে জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে একটি কাঠামোর আওতায় আনার কাজ চলছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার ধরন ও পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে। অপর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই প্রথম ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য দ্রুত পরিপত্র জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান পদে নিয়োগ কার্যক্রম এখন থেকে এনটিআরসিএ পরিচালনা করবে। উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানকে এসব পদে নিয়োগ না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন নিয়োগ কাঠামো চালু হতে যাচ্ছে। শিক্ষা খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। তবে অনেকের মতে, এ পরিবর্তন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে সমন্বয় করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আপনি কি চান আমি এই খবরটি আরেকটু বিশ্লেষণধর্মী ব্লগ আকারে লিখে দিই—যেখানে এই নীতিগত পরিবর্তনের সুবিধা-অসুবিধা, শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব নিয়ে আলোচনা থাকবে?
Leave a Reply