1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
Title :
Mpo শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়িভাড়া নিয়ে নতুন চক্রান্তের আভাস বাড়িভাড়া বৃদ্ধির পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপন নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের MPO শিক্ষক কর্মচারীদের আনুপাতিক হারে বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে লিগ্যাল নোটিশ নির্বাচনের আগেই প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার বিষয়ে যা জানাল মন্ত্রণালয় আবারও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের-প্রসংগ শতাংশ আকারে বাড়িভাড়া বদলি সফটওয়্যার তৈরি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো মাউশি ও ইএমআইএসেলের সভায় বাড়িভাড়া বৃদ্ধির পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপন কোনদিন যা জানাল মন্ত্রণালয় আগের পরিপত্র বাতিল শতকরা আকারে বাড়ি ভাড়া পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গোপনীয় সভায় মিলিত শিক্ষা ও অর্থামন্ত্রণালয় নতুন পে স্কেলে গ্রেড কমালে লাভবান হবে কে বা কারা

নতুন পে স্কেলে গ্রেড কমালে লাভবান হবে কে বা কারা

  • Update Time : বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪৩২ Time View
নতুন পে স্কেলে গ্রেড কমালে লাভবান হবে কে বা কারা

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে-স্কেল নির্ধারণের আলোচনায় এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হচ্ছে—গ্রেড সংখ্যা কমানো, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত হ্রাস এবং কর্মচারীদের সুবিধা পুনর্বহাল। পে কমিশন উন্মুক্ত মতামত নিচ্ছে সাধারণ নাগরিক, সরকারি কর্মচারী, বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন ও সমিতি থেকে। এতে বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে—২০ গ্রেড বেতন কাঠামো রাখা হবে নাকি ভেঙে কমিয়ে আনা হবে।

বিদ্যমান বৈষম্য ও সমস্যা

২০১৫ সালের পে-স্কেলের দিকে তাকালে দেখা যায়, বিভিন্ন গ্রেডের বেতন ব্যবধান অস্বাভাবিকভাবে কম। যেমন—

  • ১৯তম ও ২০তম গ্রেডের ব্যবধান মাত্র ২৫০ টাকা
  • ১৭তম ও ১৮তম গ্রেডে পার্থক্য মাত্র ২০০ টাকা
  • ১২তম ও ১৩তম গ্রেডে ব্যবধান মাত্র ৩০০ টাকা

এমন ক্ষুদ্র ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও গ্রেড আলাদা রাখা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন কর্মচারীরা পদোন্নতির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা ভোগ করছেন, অন্যদিকে অল্প অল্প ব্যবধানেই অনেকগুলো গ্রেড হওয়ায় পুরো কাঠামো অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

কমিশনের প্রস্তাব ও সম্ভাব্য পুনর্বিন্যাস

পে কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৈষম্য কমিয়ে আনতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত সমন্বয় করার পাশাপাশি গ্রেড সংখ্যা কমানো জরুরি। প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে—

  • ১–১০ম গ্রেডের মধ্যে দুটি একীভূত করা হতে পারে।
  • ১১–২০তম গ্রেডকে ৫–৬টিতে ভেঙে নতুনভাবে সাজানো হতে পারে।
  • এর ফলে মোট গ্রেড সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪–১৫টির মতো

অন্যদিকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের প্রস্তাব হলো—২০ গ্রেড ভেঙে ১২ টিতে নামিয়ে আনা। তাদের প্রস্তাব—

  • ১–৯ম গ্রেড অপরিবর্তিত রাখা।
  • ১০–১২তম, ১৩–১৬তম ও ১৭–২০তম গ্রেডকে একত্রিত করে নতুন তিনটি গ্রেড তৈরি করা।

কর্মচারীদের দাবি: টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ফেরত চাই

কর্মচারীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, অষ্টম পে কমিশনে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করা হয়েছে। অথচ অফিসাররা পদ শূন্য না থাকলেও নির্ধারিত সময়ে পদোন্নতি পান। কর্মচারীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাই তারা স্পষ্টভাবে দাবি তুলেছেন—

  • টাইম স্কেল পুনর্বহাল করতে হবে।
  • সিলেকশন গ্রেড ফিরিয়ে দিতে হবে।
    এ ছাড়া গ্রেড কমানো হলেও যদি এসব সুবিধা পুনর্বহাল না হয়, কর্মচারীরা সেটি মেনে নেবেন না।

কারা লাভবান হবেন?

গ্রেড কমানো হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা। কারণ—

  • পদোন্নতির ধাপ কমে যাবে।
  • একই গ্রেডে দীর্ঘদিন আটকে থাকতে হবে না।
  • নতুন বেতন কাঠামোয় তুলনামূলক দ্রুত আয় বাড়বে।

তবে উচ্চ গ্রেডে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য এতে তেমন লাভ না থাকলেও বৈষম্য কমে আসবে।

বিশেষজ্ঞদের মত

অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে নিচের গ্রেডের কর্মচারীরা টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের ব্যবধান না কমালে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই তারা গ্রেড কমানোর পাশাপাশি বেতনের অনুপাত ১:৯ বা ১:১০ এর মধ্যে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন।

ভারতের উদাহরণও এখানে টানা হচ্ছে। সেখানে তিনটি ক্যাটাগরিতে (গ্রুপ-সি, গ্রুপ-বি ও গ্রুপ-এ) ভাগ করে মোট ১৮ লেভেলের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কাঠামো যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি বৈষম্যও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

কর্মচারী সংগঠনগুলোর শর্ত

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন বলছে—

  • তারা গ্রেড সংখ্যা ১৫–১৬ তে নামানোর পক্ষে।
  • তবে পূর্বের টাইম স্কেল ও অন্যান্য সুবিধা পুনর্বহাল না করলে তারা এটি মানবেন না।
  • তাদের মতে, ২০১৫ সালের পে স্কেলে অনেক সুবিধা কেটে নেওয়া হয়েছিল, যা কর্মচারীদের ক্ষতি করেছে।

নতুন পে-স্কেল নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে স্পষ্ট যে, গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে বৈষম্য হ্রাস করা হবে কমিশনের মূল লক্ষ্য। কিন্তু কর্মচারীরা বলছেন, শুধু গ্রেড কমানোই যথেষ্ট নয়—তাদের হারানো সুবিধা ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় বৈষম্য ঘোচানোর পরিবর্তে নতুন অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

অতএব, নতুন পে-স্কেল হতে হবে এমন একটি কাঠামো, যা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী উভয়ের জন্য ন্যায়সঙ্গত, কার্যকর ও টেকসই হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme