বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা শতাংশ হারে বৃদ্ধির দাবিকে কেন্দ্র করে সরকারের ভেতরে যেমন গোপনীয় বৈঠক চলছে, তেমনি মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় অর্থ উপদেষ্টার কক্ষে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের মধ্যে ‘হাইলি কনফিডেন্সিয়াল’ এক বৈঠক শুরু হয়। এ বৈঠকে উপস্থিত আছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীন। সভার বিশেষত্ব হলো—সাধারণত এ ধরনের বৈঠকে উপদেষ্টা ও সচিবদের একান্ত সচিবরা থাকেন, কিন্তু আজকের বৈঠক এতটাই স্পর্শকাতর যে কাউকেই প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র দুই মন্ত্রণালয়ের দুই উপদেষ্টা ও দুই সচিব নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বৈঠকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে শিক্ষক সমাজ দাবি করছে, ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে সরকার তাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। এজন্য তারা আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। শুধু সাধারণ শিক্ষক নয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংগঠনগুলোকেও এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি জানিয়েছেন, “গত ১৩ আগস্ট প্রেস ক্লাবে প্রায় এক লাখ শিক্ষক জড়ো হয়েছিলেন। এবারের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে তার অন্তত দ্বিগুণ শিক্ষক-কর্মচারী সমবেত হবেন। সরকার যদি ন্যায্য দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।”
ফলে একদিকে সরকারের অভ্যন্তরীণ গোপন বৈঠক, অন্যদিকে রাস্তায় নামতে প্রস্তুত লাখো শিক্ষক—এমন পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা প্রশ্নটি অচিরেই জাতীয় ইস্যুতে রূপ নিতে পারে।
অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গোপনীয় কিসের জন্য বলা হচ্ছে তা উপরের অনুচ্ছেদ পড়েই বুঝতে পেরেছেন। সাধারণত যেভাবে এধরনের মিটিংগুলো অনুষ্ঠিত হয় সেই প্রথার বাহিরে গিয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কারণ নীতি নির্ধারকেরা বুঝে গিয়েছে যে তাদের যারা বুদ্ধি দিচ্ছে তা আসলে সুবুদ্ধি নয় কুবুদ্ধি। এই বুদ্ধিগুলো নিলে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।
Leave a Reply