1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
Title :
Mpo শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়িভাড়া নিয়ে নতুন চক্রান্তের আভাস বাড়িভাড়া বৃদ্ধির পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপন নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের MPO শিক্ষক কর্মচারীদের আনুপাতিক হারে বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে লিগ্যাল নোটিশ নির্বাচনের আগেই প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার বিষয়ে যা জানাল মন্ত্রণালয় আবারও অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের-প্রসংগ শতাংশ আকারে বাড়িভাড়া বদলি সফটওয়্যার তৈরি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো মাউশি ও ইএমআইএসেলের সভায় বাড়িভাড়া বৃদ্ধির পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপন কোনদিন যা জানাল মন্ত্রণালয় আগের পরিপত্র বাতিল শতকরা আকারে বাড়ি ভাড়া পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গোপনীয় সভায় মিলিত শিক্ষা ও অর্থামন্ত্রণালয় নতুন পে স্কেলে গ্রেড কমালে লাভবান হবে কে বা কারা

শতকরা হারে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে মাউশির ষড়যন্ত্র এখনও বিদ্যমান

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৯২ Time View
শতকরা হারে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে মাউশির ষড়যন্ত্র এখনও বিদ্যমান

সম্প্রতি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকায় উন্নীত করার সরকারি সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল—বাড়িভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হোক। এই দাবিকে সামনে রেখেই তারা আগামী ১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এ বিষয়ে মাউশির ষড়যন্ত্র এখনও চলমান রয়েছে। আজও মাউশির নাম প্রকাশে এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ ২৪ ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন আমরা অর্থমন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে চেষ্টা করছি যে বাড়িভাড়া অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা করা যায় কিনা এবং চিকিৎসা ভাতা এক হাজার টাকা করার। এখন বুঝতে পেরেছেন তো ভুত কোথায় লুকিয়ে। মাউশি মুখে যতই ভালো ভালো কথা বলূক না কেন তারা মনে প্রাণে কখনই চায় না যে. এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা শতকরা হারে বাড়িভাড়া প্রাপ্ত হোক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব

শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন ও ক্ষোভ প্রশমনের অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে কয়েকটি প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • বাড়িভাড়া ভাতা অন্তত ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করা,
  • চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা,
  • এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা

তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, উৎসব ভাতার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য নতুন কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি।

আর্থিক ব্যয়ের প্রাক্কলন

বর্তমানে (প্রতি শিক্ষককে মাসে ১ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া বাবদ সরকারকে শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় বছরে প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়। প্রস্তাবিত ২০ শতাংশ বা ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা হারে বাড়িভাড়া নির্ধারণ করা হলে কেবল এ খাতে সরকারকে বছরে ৩৪০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় বহন করতে হবে।

অন্যান্য বিকল্প প্রস্তাবগুলো হলো:

  • ১৫% বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা হারে খরচ হবে ২৪৪০ কোটি টাকা,
  • ১০% বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা হারে খরচ হবে ১৭৭০ কোটি টাকা,
  • ৫% বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা হারে খরচ হবে ১৩৭০ কোটি টাকা

অর্থাৎ বাড়িভাড়া ভাতা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে গেলে সরকারের বার্ষিক ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা প্রসঙ্গ

শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে বলেছে, বর্তমান ৫০০ টাকার চিকিৎসাভাতা একেবারেই অপ্রতুল, যা দিয়ে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা বাস্তবে সম্ভব নয়। তাই একে অন্তত ১ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যদিকে, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০% থেকে ৭৫% করার সুপারিশ থাকলেও শিক্ষকরা এখানেও বৈষম্যের অভিযোগ তুলতে পারেন, কারণ তাদের ভাতা আগের অবস্থাতেই রাখা হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধির দাবি করে আসছেন। সরকারও ধীরে ধীরে ভাতা বাড়াচ্ছে, তবে সেই বৃদ্ধি বাস্তবতার তুলনায় খুবই নগণ্য। ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে যেখানে গড় বাড়িভাড়া ১০-১৫ হাজার টাকার ওপরে, সেখানে একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক মাত্র ১৫০০ টাকা বাড়িভাড়া পেলে তা নিছক প্রহসনের শামিল।

সরকারের আর্থিক সক্ষমতা ও বাজেট সীমাবদ্ধতা একটি বড় বাস্তবতা হলেও শিক্ষা খাতকে অবহেলা করলে তার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি বহুগুণ বেশি। শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে শুধু আন্দোলনই বাড়বে না, বরং শিক্ষার মান ও শ্রেণিকক্ষের পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও উৎসব ভাতা নির্ধারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাস্তব জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনা করেই টেকসই সমাধান বের করা জরুরি। এ বিষয়ে যদি সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় যদি পরিস্থিতি বিবেচনা প্রসুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে কতিপয় আমলার প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে বাধ্য। আর এই উদ্বত্ত পরিস্থিতির জন্য কিন্তু দায়ী থাকবে সরকার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme