বাংলাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী কর্মচারীরা বহুদিন ধরেই একটি যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছেন—তাদের জন্য সর্বজনীন বদলি ব্যবস্থা চালু করা হোক। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত কর্মচারী ঐক্যজোট।
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য বদলির সুযোগ তৈরি হলেও কর্মচারীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়েই শিক্ষা ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে—
অন্যদিকে, এই বদলির ব্যবস্থা চালু করতে সরকারের অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন নেই। বরং এর ফলে কর্মচারীরা স্বস্তিতে কাজ করতে পারবেন, অফিস কার্যক্রম হবে কার্যকরী, আর শিক্ষার মানও বাড়বে।
ঐক্যজোটের সভাপতি মো: রাসেল মন্ডল স্পষ্টভাবে বলেছেন—
“এটি নিঃসন্দেহে এক ধরনের বৈষম্য। শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাচ্ছেন, অথচ কর্মচারীরা পাচ্ছেন না। সরকার যদি দ্রুত এ বৈষম্য দূর না করে, তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
মহাসচিব মো: মাহবুব আলমের বক্তব্য আরও তীব্র—
“সরকার বৈষম্য দূর করার কথা বললেও তারা বরং বৈষম্য সৃষ্টি করছে। শিক্ষকদের বদলি চালুর মধ্যে দিয়ে কর্মচারীদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত বদলির ব্যবস্থা না করলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
১. কর্মচারীরা পারিবারিকভাবে ও মানসিকভাবে স্থিতিশীল হবেন।
২. অফিস ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বাড়বে।
৩. কর্মচারীদের অসন্তোষ কমবে, ফলে কর্মপরিবেশ হবে ইতিবাচক।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক মানোন্নয়ন ঘটবে।
শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে যেমন শিক্ষক অপরিহার্য, তেমনি কর্মচারীরাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এক পক্ষকে বদলির সুযোগ দিয়ে অন্য পক্ষকে বঞ্চিত রাখা কেবল বৈষম্যই নয়, বরং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যও ক্ষতিকর। সরকারের এখনই উচিত এই বৈষম্য দূর করে শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য সমান বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করা।
Leave a Reply