সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী, বিচারপতি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। সম্প্রতি জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত ৩ জুন অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘বিশেষ সুবিধা’র সর্বনিম্ন পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা। আর অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের জন্য ন্যূনতম সুবিধার পরিমাণ হবে ৭৫০ টাকা।
এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত অর্থিক সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী, বিচার বিভাগের বিচারপতি এবং এমপিওভুক্তদের ক্ষেত্রেও আলাদা আদেশ জারি করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, সরকার দেশের সব শ্রেণির কর্মজীবী মানুষের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়, বিশেষত যাদের দীর্ঘদিন ধরে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধায় একটি ধরনের বৈষম্য ছিল।
বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কর্মজীবীদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার এই বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে কর্মজীবীদের আস্থা ও মর্যাদা রক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি শুধু একটি আর্থিক সুবিধা নয়, বরং একটি মানবিক সিদ্ধান্ত, যা কর্মীদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাতা ও প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এবার আলাদা আদেশের মাধ্যমে তাদেরও এই কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করা সরকারের ইতিবাচক চিন্তার প্রতিফলন।
এদিকে সশস্ত্র বাহিনী ও বিচার বিভাগের সদস্যরাও রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের জন্যও বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে আলাদা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা একটি সামগ্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির পরিচায়ক।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথাযথ তদারকি, স্বচ্ছতা ও সময়ানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ধরনের সুবিধা মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী নিয়মিত হালনাগাদ করা প্রয়োজন। এতে কর্মজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা যেমন বাড়বে, তেমনি রাষ্ট্রের প্রতি তাদের আস্থাও আরও গভীর হবে।
Leave a Reply