মহার্ঘ ভাতা চুড়ান্ত কার্যকর ১লা জুলাই
- Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
- ১০৮০ Time View
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে নতুন মহার্ঘ ভাতা, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। ১ জুলাই ২০২৫ থেকে এ ভাতা কার্যকর হবে।
কোন গ্রেডে কত হারে মহার্ঘ ভাতা?
- ১ম থেকে ৯ম গ্রেড: ১৫% হারে মহার্ঘ ভাতা
- ১০ম থেকে ২০তম গ্রেড: ২০% হারে মহার্ঘ ভাতা
এই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ-ই পদক্ষেপ আরও বাস্তব সম্মত হতো যদি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন একটা সীমা নির্ধারণ করা হতে। তাহলে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা লাভবান হতো। কারণ বর্তমান কাঠামোতে একজন নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীর সুবিধা বাড়বে খুবই সামান্য।
বিদ্যমান প্রণোদনার অবসান
বর্তমানে সরকারি কর্মীরা:
- বার্ষিক ৫% ইনক্রিমেন্ট পান যা এ-ই বছরও যথারীতি পাবেন।
- ২০২৩ সাল থেকে ৫% বিশেষ প্রণোদনা পেয়ে আসছেন যা মহার্ঘ ভাতা চালুর ফলে বাতিল হবে।
তবে নতুন মহার্ঘ ভাতা চালু হলে এই বিশেষ প্রণোদনা বাতিল করা হবে। অর্থাৎ, একজন সরকারি কর্মচারী এখন থেকে পাবেন ৫% ইনক্রিমেন্ট ও পৃথকভাবে নির্ধারিত মহার্ঘ ভাতা।
সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় কত?
- নতুন মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নে অতিরিক্ত ব্যয় হবে আনুমানিক ৭ হাজার কোটি টাকা।
- বর্তমানে বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৮২,৯৯০ কোটি টাকা (মোট বাজেটের ১০.৪১%)।
- ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই খরচ গিয়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকায়।
সিদ্ধান্ত নিতে কেন সময় লাগল?
- বিশেষ কমিটি গঠিত হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে।
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানুয়ারি থেকেই ভাতা কার্যকর করার সুপারিশ করেছিল।
- তবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও বাজেট চাপের কারণে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হয়।
- বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কেউ কেউ বাড়তি ব্যয়ের বিরোধিতা করায় বিষয়টি আরও আলোচনার প্রয়োজন হয়।
পুরনো বৈষম্য ও ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গ
- আগের সরকারে একাধিক পদোন্নতি দিলেও অনেক কর্মকর্তা বৈষম্যের শিকার হন।
- পদোন্নতিবঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ৭৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল।
মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মহার্ঘ ভাতা ছিল সময়ের দাবি। নতুন এই ভাতা সরকারি চাকরিজীবীদের কিছুটা আর্থিক স্বস্তি দেবে বলেই আশা করা হচ্ছে। যদিও বিশেষ প্রণোদনা বন্ধ হওয়ায় তা পুরোপুরি লাভজনক না-ও হতে পারে, তবু এটি একটি কাঙ্ক্ষিত ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। তবে এ-ই পদক্ষেপ আরও বাস্তব সম্মত হতো যদি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন একটা সীমা নির্ধারণ করা হতে। তাহলে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা লাভবান হতো। কারণ বর্তমান কাঠামোতে একজন নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীর সুবিধা বাড়বে খুবই সামান্য।
Leave a Reply