গত ১৭/০৪/২৫ইং তারিখে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় যে, এপ্রিল মাসের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন আগামী মাসের ৮ তারিখে প্রদান করা হবে সেই মোতাবেক কাজ শুরু করবে ইএমআইএস সেল। সংবাদটা অবশ্যই আশা জাগানিয়া এবং খুব বেশি ভাল না হলেও মন্দের ভাল। বেশি ভাল তখনই বলতাম যদি বলা হত মাসের ১ তারিখে প্রদান করা হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করবে মাউশির ইএমআইএস সেল।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের আজীবনের আরাধনার বিষয় যা তাহলো প্রতিমাসের শুরুতেই তারা যেন আরও অন্যান্য পেশার কর্মজীবিদের মতো তাদের বেতন টাকা পাওয়ার। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এই চাওয়ার সাথে মনে হয় বিবেকবান কোন মানুষই দ্বিমত করবে বলে মনে হয় না।
দ্বিমত শুধু করে এদেশের মাউশির তথাকথিত সুদখোর কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা কিনা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের ইচ্ছাকৃত এই জটিলতা দিনের পর দিন জারি রেখেছে নিজেদের স্বার্থে।
ইএফটি মাধ্যমে বেতন প্রদানে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যাতে শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট বেতনের অর্থ সঠিক সময়ে কোন প্রকার জটিলতা বিহীন ভাবে প্রেরণ করা যায়। কিন্তু এখানেও মাউশির এই অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জটিলতা তৈরি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যা কিনা সত্যিই কারও কাম্য ছিল না।
এখন আসি বর্তমান প্রসংগ নিয়ে মাউশি থেকে জানানো হয়েছে যে, এপ্রিলের বেতন যাতে মে মাসের ৮ তারিখে মধ্যে যাতে শিক্ষক কর্মচারীগণ পায় তার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছে মাউশি। তাহলে এখানে একটা বিষয় ভেবে দেখেন তো যদি ৮ তারিখে বেতন প্রদান সম্ভব হয় তাহলে ১ তারিখে নয় কেন? মাউশি থেকে প্রতিনিয়ত যে কথাটা জানানো হয় তা হলো বেতন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বেশ কিছু জটিলতার মুখোমুখি তাদের হতে হয়। মাউশির একথা শুনে একটা প্রশ্ন জাগে মনে তাহল মাউশি কি তাহলে ডিজিটালাইজড নয়, মাউশি এখনও আমাদের বেতন প্রদানের সকল কার্যক্রম এখনও পুর্বের ন্যায় এনালগ সিষ্টেমে পরিচালিত করে। যদি মাউশি ডিজিটালাইজড হয় তাহলে তো তাদের বেতন প্রদানের সকল কার্যক্রম সফটওয়্যার সিষ্টেমে পরিচালিত হওয়ার কথা সেখানে একটি সমস্যা প্রতি মাসে হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
মাউশি থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৮ তারিখে বেতন প্রদান করার কথা এবং এটা যদি মাউশির কথার কথা না হয়ে যদি সত্যিকারের কথা হয় তাহলে কিন্তু এ সপ্তাহের মধ্যে অথবা আগামী সপ্তাহের প্রথমদিকে কিন্তু বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করতে হবে অথবা ৮ তারিখে বেতন প্রদান সম্ভবপর হবে না। এসময়ের মধ্যে যদি বেতন প্রদানের কার্যক্রম শুরু না করা যায় তাহলে ঐ পূর্বের ন্যায় ১৫ তারিখ পার হয়ে যাবে বেতন পেতে পেতে।
পরিশেষে যা বলতে চাই বা মাউশির প্রতি যে অনুরোধটুকু করতে চাই তা হলো এই, অনেক জটিলতা তৈরি করেছেন ন্যায় ভাবে করেছেন না অন্যায় ভাবে করেছেন তা বিচারের দায়িত্ব আপনাদের। এখন থেকে আর দয়া করে জটিলতা বাড়াবেন না। এখন থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতি একটু দয়াবান হওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে আমাদের, আপনদের তথা দেশের মঙ্গল বয়ে আনবে।
Leave a Reply