এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর ডিসেম্বর মাসের বেতন ব্যাংকে পাঠানো নিয়ে তেমন কোন সুখবর দিতে পারেনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের বেতনের অর্থ ব্যাংকে পাঠানো হতে পারে। এই আগামীকাল আর শেষ হচ্ছে না। কোনদিন আগামীকাল শেষ হবে তা বলা মুশকিল।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে মাউশির ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট উইংয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ মজুমদার জানান যেএ তথ্য জানিয়েছেন।যে, ‘দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটিতে বেতনের মেসেজ পাওয়া ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনের জিও (সরকারি নির্দেশনা) জারি হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অর্থ ব্যাংকে জমা হতে পারে।’ হতে পারে এই কথা আর কত শুনব আমরা। এই কথা শুনতে শুনতে তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। সবকিছুরই একটা মাত্রা আছে মাত্রা ছাড়ানো, দায়িত্বহীন কথাবার্তা আপনারা আর কত বলবেন। আপনাদের কি লজ্জাবোধ কাজ করে না।
মাউশি কর্তৃপক্ষ জানায় যে, বেতন না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। বেতন পেতে আর কত বিলম্ব হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আবু সাঈদ মজুমদার আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছি। তবে নানা সমস্যার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আগামীকাল বেতন ব্যাংকে পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। কোনো কারণে সেটি সম্ভব না হলে আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপে বেতনের মেসেজ পাওয়া শিক্ষকরা অবশ্যই বেতন তুলতে পারবেন।’ আগামী সপ্তাহ কত তারিখ হবে জনাব।
তাহলে আপনারা যে এতদিন বললেন যে, এখন থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতিমাসের ১ তারিখে বেতন পাবে। তাহলে ফেব্রুয়ারী মাসের বেতন আবার কত তারিখে দিবেন। তাহলে তা কি এপ্রিল মাসের ১ তারিখে দিবেন। অবস্থাদৃষ্টে তো তাই মনে হচ্ছে।
আপনারা আবার নির্দেশনা জারি করেন যে, আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। অসামজঞ্জস্যপূর্ণ কথাবার্তা বলবেন আর তার বিরুদ্ধে আইন করবেন কোন প্রতিবাদ করা যাবে না। ফ্যাসিজমের একটা মাত্রা আছে। ফ্যাসিজমের জনক আপনাদের গুরু কিন্তু এই ফ্যাসিবাদি কার্যক্রমের কারণে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
অবস্থাদৃষ্টে যা মনে হচ্ছে এ সপ্তাহে টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। আবার আগামী সপ্তাহে কোনদিন নাগাদ পাওয়া যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই।
Leave a Reply