এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটিতে বেতন দেওয়ার সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক, গত ০১ জানুয়ারী ১ লক্ষ ৮৯ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর ১ম ধাপে বেতন প্রদান করা হয়। এরপর গত ১৯ তারিখ ২য় ধাপে আরও ৬৭ হাজারের ও বেশি শিক্ষক কর্মচারীর বেতনের পেমেন্টের তালিকা প্রকাশ করা হয় কিন্তু ২য় ধাপের সেই সকল শিক্ষক কর্মচারীর ব্যাংক একাউন্টে আজ পর্যন্ত বেতনের টাকা প্রদান করা হয়নি। আজ বুধবার ও বেতনের টাকা ব্যাংকে না পাঠানোর কারণে এ সপ্তাহে বেতন পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
গত ২০ তারিখে মাউশির মিটিংয়ের খুব ভাল একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যা হলো, তৃতীয় ধাপে আরও কিছু শিক্ষক কর্মচারীর বেতন তাদের নিজস্ব সংশোধনির মাধ্যমে ইএফটির মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। সেই সকল শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ইএফটির মাধ্যমে দেওয়া হবে যাদের নামের বানানে সামান্য কিছু ভুল আছে যেমনঃ আ,কার, ই,কার, ঈ,কার অথ্যাৎ নামের বানানের ১টি অক্ষরের ভুল রয়েছে। তাদের বেতন মাউশি কর্তৃপক্ষ নিজ থেকে সংশোধন সাপেক্ষে প্রদান করবে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও এ সপ্তাহে হওয়ার সম্ভাবনা কম। অথ্যাৎ তাদেরও পেমেন্ট তালিকা বা বেতনে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
তারপর ও বাঁকি থাকে আরও প্রায় ১ লক্ষ এর উপর শিক্ষক কর্মচারী যাদের কি করতে হবে, কিভাবে সংশোধন করতে হবে, কি সংশোধন করতে হবে, কতদিনের মধ্যে সংশোধন করতে হবে, কোনদিন তারা বেতনের টাকা হাতে পাবে তার নির্দেশনাও এ সপ্তাহে পাওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
এখন প্রশ্ন হলো এত অব্যবস্থপনা মাউশির মতো একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কি আমরা কেউ আশা করি। যারা আমাদের অভিভাবক হিসাবে কাজ করে তারাই নিজেরাই যদি যাচ্ছেতাই ভাবে আচরণ করে তাহলে আমরা নিরীহ শিক্ষক কর্মচারী কোন জায়গায় থেকে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করব।
আমাদের এখন সৃষ্টিকর্তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নাই।
আশা করি আপনারা প্রতিটি শিক্ষকের এন আই ডি ও সাটিফিকেট এ নাম দেখে বেতন দেন দয়া করেন।MOSSAMMAD এমপিও সিটে শুধু MOST হয়েছে। এই রকম ভুল সংশোধন করে দয়া করে বেতন দেন.