গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী জানান ৬৭ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দ্বিদ্বিতীয় ধাপে বেতনের জন্য তাদের নাম ইতিমধ্যে পেমেন্ট স্ট্যাটাসে যুক্ত হয়েছে। সোমবারের মধ্যে তারা তাদের প্রাপ্য বেতন পেয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে তাদের মেসেজ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। ২৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য পায়নি সংস্থাটি। অবশিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য পেলেও তাতে ত্রুটি থাকায় সেগুলো সংশোধন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে যেটা বলা হয়েছিল যে, ১ লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দ্বিতীয় ধাপে প্রদান করা হবে কিন্তু ডাটা ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে সেটা করা সম্ভব হয়নি। ২য় ধাপে ৬৭ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়েছে। আর কিছু শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য এর খুব বেশি সমস্যা না হলেও এমন কিছু সমস্যা আছে যে গুলো যাচাই করতে সেই সকল শিক্ষক কর্মচারীর সহযোগীতা লাগবে বলে ইএমআইএস সেল মনে করেছে সেই সংখ্যা প্রায় ৩০-৩৫ হাজার। সেই কারণে ১ লক্ষ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ২য় ধাপে দেওয়া হয় নি।
বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। ২৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য পায়নি সংস্থাটি। অবশিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য পেলেও তাতে ত্রুটি থাকায় সেগুলো সংশোধন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
এখনও একটি বড় অংশ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ইএফটির মাধ্যমে আসে নি। তাদের প্রতি একটাই সমবেদনা যে, আপনারা কেউ ধৈর্য হারাবেন না। একটু সময় অপেক্ষা করুন ইএমআইএস সেল থেকে মেসেজ দিবে যে আপনাদের কিভাবে, কি ভুল আছে সেগুলো সংশোধন করবেন।
এখন সকলের কাছে একটা প্রশ্ন যে তৃতীয় ধাপে আরও কিছু শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ছাড় করা হবে না কি? সংশোধনের নির্দেশনা সম্পর্কিত মেসেজ প্রদান করা হবে। তা জানার জন্য আমাদেরকে আজ অথবা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আপনার আপনাদের কাঙ্খিত নির্দেশনা পেয়ে যাবেন।
EMIS সেলের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা আজ অথবা আগামীকাল পাওয়া যাবে। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিভিন্ন সুত্রে যতটুকু জানতে পেরেছি তার হল তৃতীয় ধাপে আরও কিছু শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ছাড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে তা নিশ্চিত নয় সম্ভাবনা আছে শিক্ষক প্রতিনিধি গণ মাউশি ডিজি মহোদয়কে বিষয়টি মানবিকভাবে দেখার ব্যাপারে জানালে ডিজি মহোদয় বলেন দেখুন ভাল কিছু পেতে হলে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
তারপরও তারা তাকে বিষয়টি আবার মানবিক দিক বিচার করে শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে বিষয়টি নজরে নিতে বললে তিনি তেমন কোন প্রকার আশার বাণী শোনানি তবে একেবারে নাকচ করেও দেননি। তবে তৃতীয় ধাপের আশা করা যায়। আবার নাও তৃতীয় ধাপে যেতে পারে। তবে তৃতীয় ধাপে যাক বা না যাক আগামীকাল বা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সঠিক দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে। যেসকল শিক্ষক কর্মচারীর এখন পর্যন্ত নাম ইএফটির পেমেন্ট স্ট্যাটাসে দেখা যায় নি।
এখন আমাদের সামনে সামনে কিছু সময় অপেক্ষা করা ছাড়া আপতত কোন অপশন নাই। নির্দেশনা আসার পর সেই মোতাবেক কার কতটুকু সমস্যা সেই মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
এখন আমাদের নিজের যে কাজটা করতে হবে তা হল নিজেদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যে গুলো আমাদের সংশোধনের কাজে লাগবে সেগুলো হাতের কাছে রাখা। আমরা কিন্তু মোটামুটি সবাই জানি কোন কোন পেপারস আমাদের সামনে কাজে লাগতে পারে।
পরিশেষে যে কথাটা বলব তা হল, যে কেউ কোন প্রকার বিভ্রান্ত হবেন না। হয়ত কিছু দিন একটু সমস্যা হবে তবে সকল সমস্যাই অল্প সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। রাত শেষে একসময় না একসময় ভোর হবে সারাক্ষণই রাত থাকবে না। আর অপেক্ষার পর যে বাস্তবতার নাগাল পাওয়া যায় তা খুব সমৃদ্ধিকর হয়।