জীবনে বাঁচাতেও যেমন বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগে তেমনি জীবন সাজাতেও তেমনি বিজ্ঞানের কার্যকারিতাও প্রমাণিত। তবে জীবন আগে বাঁচাতে হবে তবেই না জীবন সাজানোর প্রসঙ্গ।
শিক্ষক কর্মচারীর প্রতি মাসে বেতন পাওয়াটা জীবন বাঁচানোর শামিল আর ইএফটিতে বেতন পাওয়াটা জীবন সাজানোর বিষয়। আপনি কিভাবে সাজাবেন কখন সাজাবেন তা নির্ভর করে আপনার রুচি ও সক্ষমতার উপর।
3,80,000হাজার শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে 1,89,000 হাজার শিক্ষক কর্মচারী মাত্র ইএটিতে বেতন পেয়েছে। আর বাকি শিক্ষক কর্মচারীর বর্তমান অবস্থা কি? তারা কি পরিমাণ মানসিক ও পারিপার্শ্বিক চাপের মধ্যে আছে সেটার কি খবর কেউ রাখেন। অনেকের চাকুরির মেয়াদ 25-30বছর হয়েছে এই সময়ে এসে যদি তাদের বেতনের সমস্যা হয় তাহলে সামাজিক ভাবে তাদের কতটা হেয় হতে হয় ভাবতে পারেন। মানসিক অবস্থার কথা না বাদই দিলাম। কারণ আমরা যারা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী তাদের মানসিক দৃঢ়তা অস্বাভাবিক ভাবে এত দুর্বল নয়।
ইএফটির যে সমস্যা তার জন্য কি শুধু আমরা শিক্ষক কর্মচারীরাই দায়ী। এর দায় কি আমাদের কর্তৃপক্ষ কোনভাবে এড়াতে পারে? ইএফটির তথ্যগুলো যে প্রসেসে শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে নেওয়া হয়েছে তা কিন্তু ধাপে ধাপে পরীক্ষিত করা হয়েছে। তাহলে যদি আমাদের তথ্যের অমিল থাকলে তখন কেন বলা হল না। ধরুন আমরা প্রথমে তথ্যপত্রাদি প্রেরণ করেছিলাম মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট তিনি আমাদের তথ্যগুলো যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারপরে কিন্তু মাউশির নিকট প্রেরণ করেছিল। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি আমার প্রতিষ্ঠানের 4 জন শিক্ষকের তথ্যের সমস্যা হয়েছিল তাদের তালিকা ব্যাক পাঠানো হয়েছিল সংশোধন করে আবার পাঠানো হয়েছে তারপর আবার সে মাউশির নিকট প্রেরণ করেছে। তারপর মাউশি কর্তৃপক্ষ আবার সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আবার আইবাস++ এর নিকট প্রেরণ করেছে তাহলে এত সমস্যা কেন। যদি মাঝপথে সমস্যা হয় তাহলে সেখান থেকে তো ফেরত পাঠানোর কথা। তাহলে ভুল তথ্য সম্পন্ন ফাইল ফরোয়ার্ড করার দায় কার।
সকলের সকল অবহেলা পরিণাম আজ ভোগ করছে 2,00,000 লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী। আর কতদিন এভাবে আমরা এভাবে অবহেলার শিকার হব বলতে পারেন। আর কতকাল বঞ্চনার শিকার আমরা হব তার উত্তর কে দিবে। বৈষম্যে কমাতে গিয়ে আমাদের বৈষম্যে তো আরও বেড়ে যাচ্ছে আমরা কি তাই চেয়েছিলাম চাই নি তো।
সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় হলো 2,00,000 লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী বেতন বিহীন আছে তা নিয়ে মাউশি বা আমাদের উদ্ধত্বন কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নাই। তাদের পক্ষ থেকে পরিস্কার করে কিছু বলা হচ্ছে না। কবে কোন দিন কোন সময় তাদের বেতন আসবে তার নিশ্চিত কোন তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। আজ কাল পরশু বলে শুধু সময়ক্ষেপন করে চলেছেন।
আমরা আর পারছিনা, আমরা এই বঞ্চনার অবসান চাই। ইএফটির যন্ত্রণা যদি এমন হয় তাহলে সে ইএফটি নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়। যে সিস্টেমে সমস্যা না কমে বাড়ে সে সিস্টেম কতটা কার্যকরী তা নিয়ে প্রশ্ন সবাই করবে।
পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই যদি সমস্যার যদি আশু সমাধান না হয় তাহলে যে সকল শিক্ষক বৈধ শিক্ষক কর্মচারী বেতন পায়নি তাদের পূর্বের ন্যায় বেতন ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হউক।
Leave a Reply