1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
Title :
নতুন শিক্ষাক্রম কেমন হবে যা জানার এনসিটিবি এখন থেকে সরকারী চাকুরীজিবীদের মূল বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার খপ্পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির সর্বশেষ আপডেট NID তে নাম, জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিয়ে আমলাদের কোন চিন্তাভাবনা নেই, চিন্তুা শুধু ট্রেনিং নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি শুরুর দিনক্ষন সম্পর্কে যা জানাল মাউশি অনুদান পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে কোনদিন যাবে যা জানাল মাউশি ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীগণ

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে?

  • Update Time : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৭ Time View

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বিশদ আলোচনা এখানে তুলে ধরা হলো, যেখানে অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ উভয় দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।


১. শিক্ষা খাতে সামগ্রিক অগ্রগতি

১.১. প্রাথমিক শিক্ষায় সফলতা

বাংলাদেশ সরকার “সবার জন্য শিক্ষা” নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।

  • ভর্তির হার বৃদ্ধি: প্রাথমিক শিক্ষার ভর্তির হার প্রায় ৯৮%, যা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
  • মেয়েদের অংশগ্রহণ: মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিশেষ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।
  • বিনামূল্যে পাঠ্যবই: ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কর্মসূচি চালু রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে ভূমিকা রেখেছে।
  • মিড ডে মিল: কিছু অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি বাড়াতে এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে ‘মিড ডে মিল’ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

১.২. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ

  • মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি উন্নতির দৃষ্টান্ত।
  • বিভিন্ন স্তরের স্কলারশিপ ও ফ্রি এডুকেশন কার্যক্রম দরিদ্র পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানদের স্কুলে রাখতে সাহায্য করছে।

১.৩. উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা:

  • গত কয়েক বছরে অনেক নতুন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস ও গবেষণার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

২. বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা

২.১. মানসম্মত শিক্ষার অভাব

  • বাংলাদেশের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে।
  • শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ: অনেক শিক্ষকই আধুনিক শিক্ষার পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে অদক্ষ।
  • পাঠ্যক্রমের মান: বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম বেশি স্মরণশক্তি নির্ভর, যা তাদের সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করতে পারছে না।
  • ইনফ্রাস্ট্রাকচার: অনেক স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, বিজ্ঞানাগার, এবং শৌচাগারের অভাব রয়েছে।

২.২. কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সীমাবদ্ধতা

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের বড় অংশ সাধারণ ধারার শিক্ষা গ্রহণ করলেও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দক্ষতার অভাব রয়েছে।

  • কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এখনও জাতীয় শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারেনি।
  • এই ধরনের শিক্ষার ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন।

২.৩. শহর ও গ্রামের শিক্ষার বৈষম্য

  • গ্রামীণ এলাকার শিক্ষার্থীরা মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত।
  • প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোতে শিক্ষকের উপস্থিতি কম এবং সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল।

২.৪. প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতি

শিক্ষা খাতের একটি বড় সমস্যা হলো পরীক্ষা ব্যবস্থা।

  • প্রশ্নপত্র ফাঁস: এটি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা এবং মানসিকতা নষ্ট করছে।
  • প্রশাসনিক দুর্নীতি: ভর্তি প্রক্রিয়ায় ঘুষ বা স্বজনপ্রীতি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়।

২.৫. উচ্চশিক্ষায় সংকট

  • পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
  • গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং সুযোগের অভাব রয়েছে।
  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি, যা শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

৩. সরকার ও অন্যান্য সংস্থার উদ্যোগ

বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন এনজিও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে।

  • জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০: মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই নীতিমালা তৈরি হয়েছে।
  • স্কলারশিপ প্রোগ্রাম: দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
  • ডিজিটাল শিক্ষা: ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় অনলাইন ক্লাস, ই-বুক, এবং স্মার্ট স্কুল প্রকল্প চালু হয়েছে।
  • ইউনিসেফ ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থা: শিক্ষায় লিঙ্গসমতা এবং স্কুল ছাড়ার হার কমাতে কাজ করছে।

৪. ভবিষ্যৎ করণীয়

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কিছু প্রস্তাবনা:

  • শিক্ষার মানোন্নয়ন: পাঠ্যক্রম আধুনিকীকরণ এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রতি জোর দেওয়া।
  • বৃত্তিমূলক শিক্ষা সম্প্রসারণ: দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা চালু করা, যা শিল্প ও চাকরির বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • প্রযুক্তি ব্যবহার: প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ই-লার্নিং সিস্টেম চালু করা।
  • শিক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি: শিক্ষার জন্য সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো।
  • প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে উদ্যোগ: পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত সমাধান আনা।

বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের বর্তমান অবস্থা উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জের একটি জটিল মিশ্রণ। সরকার ও সমাজের সক্রিয় ভূমিকা থাকলে এই খাত আরও উন্নত হতে পারে এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।


Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme