পৃথিবীটা বুঝি এমনই বেশিরভাগ সময় সিদ্ধান্তগুলো সাধারণ সুবিধাভোগীদের বিপক্ষে যায়। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আমাদের যাদের সকল চিন্তাভাবনাগুলো অত্যন্ত সাধারণ। সকল বিষয়ে আমরা খুব বেশি প্রতারিত হতে থাকি, শোষিত হতে থাকি এবং দিনে শেষে আমাদের পরিণতি বলে মেনে নেই আর মেনে না নিয়ে কোন উপায় নেই। কারণ আমাদের সেই শক্তি নেই যা দিয়ে আমরা প্রতিবাদ করব।

স্বার্থপর পৃথিবীর অবিবেচক মানুষদের নিয়ে ভাবলে এক ধরনের হতাশা ও দুঃখবোধ তৈরি হয়। বর্তমান সমাজে অনেকেই নিজের স্বার্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে অন্যের অনুভূতি, প্রয়োজন এবং মানবিকতা ভুলে যায়। তারা যেন কেবল নিজেদের ছোট্ট পৃথিবী নিয়েই চিন্তা করে, আর এর ফলে পৃথিবীটা আরও বেশি অবিবেচক ও অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠে।

এ ধরনের মানুষরা কখনোই বৃহত্তর কল্যাণ বা সমষ্টিগত ভালো থাকার দিকে নজর দেয় না। তারা নিজের লাভের জন্য অন্যদের ক্ষতি করতে কুণ্ঠিত হয় না। সমাজে এই ধরনের আচরণ খুবই ক্ষতিকর, কারণ এটি শুধু মানুষের সম্পর্ক ও বিশ্বাসকে নষ্ট করে না, বরং পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং সমাজের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এমনকি, এই ধরনের মানুষের আচরণ শুধু সমাজের অবস্থা নিয়েই নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যতকেও বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। প্রকৃতির প্রতি অশ্রদ্ধা, অন্যদের প্রতি অবিচার এবং স্বার্থপরতা একদিন তাদেরকেই বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে, কারণ পৃথিবী সবার জন্য, এবং আমাদের আচরণ যদি পরিবর্তিত না হয়, তবে সেই পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে না।

তবে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। একমাত্র যদি আমরা নিজ নিজ স্থান থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি করি, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও দয়ার মনোভাব গড়ে তুলি এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে একে রক্ষা করতে সচেষ্ট হই, তবেই পৃথিবীটাকে আরও ভালো করা সম্ভব।