এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সাথে আবার কি নতুন করে কোন ছলনার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে? আমাদেরকে আবার নতুন করে কোন ছকে বন্দি করার কৌশল বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে না তো? এতদিন জানতাম সরকার দেশের চাকুরীজীবিদের কোন চাওয়া পাওয়া পুরণের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন আকারে আদেশ জারি করে কিন্তু এবারই দেখলাম প্রজ্ঞাপন জারি না করে সম্মতি পত্র জারি করা হলো? কিন্তু কেন? প্রজ্ঞাপন আর সম্মতি পত্র কি একই বিষয়? আমার জানা মতে তো দুটো আলাদা বিষয়। আমার একটু বোঝার চেষ্টা করি আসলে প্রজ্ঞাপন আর সম্মতি পত্র কেন আলাদা বিষয়।
সম্মতিপত্র (Consent Letter) এবং প্রজ্ঞাপন (Gazette Notification)—এই দুইটি প্রশাসনিক ও আইনি নথি হলেও এদের উদ্দেশ্য, রচনাভঙ্গি ও কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। নিচে পার্থক্যগুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হলো:
সম্মতি পত্র কোথায় লাগে? আমার জানামতে সম্মতি পত্র লাগে চাকুরীতে যোগদানের জন্য, ভুমি বা জায়গা বিক্রয় বা স্থানান্তরের জন্য, কোন গার্ডিয়ান তার সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্ত্তি করাবে সেই জন্য সম্মতি পত্র প্রয়োজন পড়ে। সরকারী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে, সরকারী কোন আইন বা নীতিমালা কার্যকর করার ক্ষেত্রে, কোন এলাকার নাম পরিবর্তন বা কোন সংস্থার বিলুপ্তির জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রজ্ঞাপনের।
তাহলে আমার প্রশ্ন হলো আমাদের অর্থাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য গত ২৬/০৫/২৫ ইং তারিখে ২৫% উৎসব ভাতা বৃদ্ধির নামে যে আদেশ জারি করা হলো তা সম্মতি পত্র না প্রজ্ঞাপন। বলা কিন্তু হলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পত্র। সম্মতি পত্র যদি হয় তাহলে কি এটা সরকারী আদেশ হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে? কারণ সরকারী আদেশ হিসাবে গ্রহণযোগ্য হতে হলে তো প্রজ্ঞাপন জারি করা দরকার ছিল না কি? প্রজ্ঞাপন যদি জারি না হয় তাহলে এটা তো একটি দ্বিপাক্ষিক একটা চুক্তির মতো বিষয় হলো এটার কি কোন সরকারী আদেশ হিসাবে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে।
নাকি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদেরকে আবার ছেলেভুলানো কোন বিষয়ের মতো করে ঠকানো ফন্দি আটা হলো। আমরা সকলেই তো গতকাল থেকে গভীর আনন্দে মেতে রয়েছি যে, উৎসব ভাতা ২৫% থেকে ৫০% হয়েছে। কিন্তু কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে এখানে কোন একটা তো ফাঁকি রয়েছে। নাকি সম্মতি পত্র পরে আবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে? বিষয়টি কিন্তু আমার যথেষ্ট সন্দেহ হচেছ। আমার এই লেখা যদি আমাদের শিক্ষক নেতাদের দৃষ্টিগোঁচর হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে ভেবে একটু আমাকে দয়া করে জানাবেন। আমার জানার বা বোঝার ভুল হতে পারে।
পরিশেষে যে কথা বলতে চাই তা হলো এই যে, আমার বিশ্বাস আমার মতো অনেকের কাছেই বিষয়টি কিছুটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে নিশ্চয়ই। দয়া করে যে বা যারা বিষয়টি ভাল বোঝেন তারা বিষয়টি পরিস্কার করে অন্যদের বুঝতে সহায়তা করবেন দয়া করে।
নাকি এরপরে আবার প্রজ্ঞাপন জারি হবে?
Leave a Reply