এখানে হুবুহু প্রেস রিলিজ নোট তুলে ধরা হল-
অদ্য ২৩/০৪/২০২৫ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের সাথে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি শিক্ষক প্রতিনিধি দল প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সভায় মিলিত হন। অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে শিক্ষক প্রতিনিধি দলে ছিলেন জোটের মহাসচিব চৌধুরী মুগীসউদ্দীন মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক কাজী মো. মাইনুদ্দিন, নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিঞা, বাকশিস যুগ্ম মহাসচিব ড. সৈয়দ খলিলুর রহমান।
এখানে একটি বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ যে, এককভাবে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সচিবালয়ে আজকের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়নি। গতকাল যেভাবে প্রচারিত হয়েছিল যে উৎসব ভাতার ব্যাপারে চুড়ান্ত আলোচনার জন্য আজকে সচিবালয়ে মিটিং বিষয়টি তেমন নয়। এখানে আরও অনেক বিষয়ের আলোচনার সাথে উৎসব ভাতার বিষয়ে আলোচনা ছিল। সেখানে আলোচনা হয়েছে অবসর ও কল্যান তহবিল পরিচালনার বিষয়ে। বুঝতে পেরেছেন এবার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব বদরুন নাহার, যুগ্ম সচিব হেলাল উদ্দিন, মাউসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. খান মাঈনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল প্রমুখ।
সভায় শিক্ষা সচিব ধৈর্য্য সহকারে শিক্ষকদের বক্তব্য শোনেন। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের কমিটি গঠন ও শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দেন।
তিনি আগামী ঈদ উল আজহায় শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে তা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা সচিব বেসরকারি শিক্ষকদের বদলীর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগস্ট মাসের মধ্যে দরখাস্ত জমা দেয়া এবং ডিসেম্বর মাসে বদলীর ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
গভর্ণিং বডি ম্যানেজিং কমিটি গঠনে তিনি স্থানীয় সরকারী বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্য থেকে কমিটির সভাপতি মনোনয়নে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
চাকুরী জাতীয়করণের বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার প্রস্তাবটি তিনি নীতিগত সমর্থন জানান এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আবারো মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।
২০১০ এর জনবল কাঠামো অনুযায়ী অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে সভাকে আশ্বস্ত করেন।
বেসরকারি কলেজে সিনিয়র প্রভাষকের পরিবর্তে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতির বিষয়ে তিনি শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানান।
নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি আশ্বস্ত করেন এবং অর্থ প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড, মাউসি থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার বিষয়ে তিনি শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে আশ্বাস দেন।
এখানে একটি বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ যে, এককভাবে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সচিবালয়ে আজকের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়নি। গতকাল যেভাবে প্রচারিত হয়েছিল যে উৎসব ভাতার ব্যাপারে চুড়ান্ত আলোচনার জন্য আজকে সচিবালয়ে মিটিং বিষয়টি তেমন নয়।
Leave a Reply