1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

এমপিও শিক্ষদের বোনাস বৃদ্ধির পরিমাণ সমন্ধে যা জানাল মন্ত্রণালয়।

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১০০৭ Time View
শিক্ষকদের বোনাস বৃদ্ধির পরিমাণ

সকল জল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে বোনাসের অর্থ বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী মাসে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

তবে এ ব্যাপারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। আর জেনেই বা লাভ কি? কারণ কোন সংগঠনের নেই কোন সঠিক এজেন্ডা। সকল সংগঠনের একটাই এজেন্ডা নিজেদের জাহির করা। কেউ ব্যস্ত সেলফি তুলতে, কেউ ফেসবুকে লাইভ নিয়ে ব্যস্ত, কেউবা ব্যস্ত দলীয় লেজুরবৃত্তি করতে যাতে দলীয় সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্য নিয়ে কথা বলার বা দর কষাকষি করার মত যোগ্য, নির্ভীক নেতা আমাদের নেই। যার হাত ধরে আমাদের এই পেশার বৈষম্যের মুক্তি ঘটতে পারে।
বলতে দ্বিধা নেই যে, যদিও এটা আমাার ব্যাক্তিগত মতামত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজকের এই প্রাপ্তি কিন্তু কোন সংগঠনের কোন কর্মসুচীর কারণে এসেছে বলে মনে হয়। যে যেভাবেই নিজেদের জাহির করুক না কেন। আপনি যদি বিবেকবান শিক্ষক হোন তাহলে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষকরা বর্তমানে বেতনের ২৫ শতাংশ অর্থ উৎসব ভাতা হিসেবে পেয়ে থাকেন। এটি ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ। কর্মচারীদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন তারা তো আগে থেকেই ৫০% ভাতা পান কাজেই তাদের ব্যাপারে কোন প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়ার পরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘৭৫ শতাংশ করা হচ্ছে না। আমরা ৫০ শতাংশের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি আসন্ন ঈদুল আজহার আগে শিক্ষকরা ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাবেন।’

এর আগে গত ৫ মার্চ বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ছে বলে জানান।

তিনি বলেন, ‘কয়েকমাস আগেই আমি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলাম, সাধ্যমত এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলন করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু, ১৫/২০ বছরের বঞ্চনা ১/২ বছরের বাজেট দিয়ে তো মেটানো যায় না। এটা বোঝানো খুব কঠিন। আজকেই বেসরকারি বেতন সরকারি বেতনের সমান করে দিতে হবে- এটা ন্যায্য দাবি বুঝলাম, কিন্তু এক বছরের বাজেট দিয়ে কীভাবে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার। সেই শুরুটা আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি।’

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘তাদের (এমপিওভুক্ত শিক্ষক) উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা- এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারবো, এখানেও আমি ঘোষণা দিচ্ছি না কত বাড়াবো। আমি জানি সেটুকু বাজেটের মধ্যে এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে প্রভিশন রাখা হচ্ছে।’

তবে এ ব্যাপারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। আর জেনেই বা লাভ কি? কারণ কোন সংগঠনের নেই কোন সঠিক এজেন্ডা। সকল সংগঠনের একটাই এজেন্ডা নিজেদের জাহির করা। কেউ ব্যস্ত সেলফি তুলতে, কেউ ফেসবুকে লাইভ নিয়ে ব্যস্ত, কেউবা ব্যস্ত দলীয় লেজুরবৃত্তি করতে যাতে দলীয় সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীদের ভাগ্য নিয়ে কথা বলার বা দর কষাকষি করার মত যোগ্য, নির্ভীক নেতা আমাদের নেই। যার হাত ধরে আমাদের এই পেশার বৈষম্যের মুক্তি ঘটতে পারে।

বলতে দ্বিধা নেই যে, যদিও এটা আমাার ব্যাক্তিগত মতামত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজকের এই প্রাপ্তি কিন্তু কোন সংগঠনের কোন কর্মসুচীর কারণে এসেছে বলে মনে হয়। যে যেভাবেই নিজেদের জাহির করুক না কেন। আপনি যদি বিবেকবান শিক্ষক হোন তাহলে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme