বর্তমান মুল্যস্ফিতির যে অবস্থা এক মাসে একটু কমে তো আর এক মাসে আবার পূর্বের অবস্থাকে ছাড়িয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়ার জন্য সরকারী কর্মচারীরা বিশেষ করে মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া বিদ্যমান পে স্কেলের নানা বৈষম্য দুরীকরনে যুক্তিযুক্ত সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আসছে।
সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের পে-স্কেলকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মহার্ঘ ভাতা চালুর দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এই দাবি তোলে।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের পে-স্কেল প্রণয়নের সময় কর্মকর্তাদের তুলনায় কর্মচারীরা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সংস্কারের দাবি জানানো হলেও এখনো নতুন কোনো পে-স্কেল চালু হয়নি। তাই তারা অন্তর্বর্তীকালীনভাবে মহার্ঘ ভাতা প্রদান এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহালের দাবি জানান।
কর্মচারীরা ঘোষণা দেন, আগামী ১ মে থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রেসক্লাবে গণজমায়েত করা হবে।
এর আগেও কর্মচারীরা ৯ম পে-স্কেলের বাস্তবায়ন ও ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতাসহ মোট ৭ দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের দাবি অনুযায়ী—
তারা আরও বলেন, সচিবালয়ের মতো অন্যান্য দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সমমানের পদগুলোর গ্রেড ও পদবি একীভূত করতে হবে। পাশাপাশি অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করা জরুরি।
এছাড়া, ২০১৫ সালের গেজেটে বাতিল হওয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পেনশন চালু, গ্রাচ্যুইটি হার ৯০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ এবং ১ টাকার পেনশন গ্রাচ্যুইটি সমপরিমাণ ৫০০ টাকা করার দাবি তোলা হয়।
তারা বাজারমূল্য, জীবনযাত্রার ব্যয় ও মুদ্রাস্ফীতির কথা বিবেচনায় এনে প্রদেয় সব ভাতা পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালুর দাবিও জানান। পাশাপাশি সরকারি গৃহঋণ সুবিধা সহজীকরণ এবং ব্লক পোস্ট ও টেকনিক্যাল কর্মীদের উপযুক্ত পদোন্নতির বিষয়েও জোর দেন তারা।
Leave a Reply