এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের পেশাগত জীবনের বৈষম্য এক কথায় বা একবারে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। বৈষম্যে ভরা যে পেশা সেই পেশার কোন একক বৈষম্য নিয়ে কথা বললে তো সকল কিছু বলা শেষ হয়ে যাবে না। এমপিওভুক্ত শিক্ষকতার পেশার শুরু থেকেই বৈষম্য শুরু।
একই পেশায় যোগদান করে সরকারী স্কুলের একজন শিক্ষকের প্রাপ্তি শুরু হয় যেখানে বর্তমান বেতন কাঠামো অনুযায়ী ১৬,০০০টাকা বেতন স্কেল দিয়ে সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেলায় শুরু হয় ১২,৫০০/-টাকা দিয়ে। এটা কত বড় ধরনের একটা বৈষম্য তা বলে শেষ করা যাবে না। কারণ একটা নতুন পেশাজীবি তার পেশা জীবনের শুরুতেই যে হোঁচট খায় বৈষম্যের সুচনা দেখতে এতে সে শুরুতেই একটা বড় ধরনের ধাক্কা খায় তার পেশাগত জীবনে। কোন কাজের শুরুতেই যদি কোন কারণে অনাকাঙ্খিত ভাবে ধাক্কা খায় তাহলে সেটা সামাল দেয়া কিন্তু অনেক কঠিন এক কাজ।
আরও পড়ুন…….এখন পর্যন্ত ইএফটির আপডেট।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকর ১৬০০০/- টাকা স্কেলে বেতন পায় না। তা কিন্তু নয়, আমি তা বলছিও না তারা এই পরিমাণ স্কেলে যেতে তাদেরকে বি.এড শেষ করতে হয় তারপর আবার নতুন করে স্কেল পরিবর্তনের আবেদন করতে হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ১৬০০০/- টাকার স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবচেয়ে দৃষ্টিকুটু যে, বিষয় তা হলো এই এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানেরই কিন্তু অনেক পদের শিক্ষকরাই শুরু থেকে এই ১৬০০০/- টাকা স্কেলে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যাই এটা কিন্তু অনেক বড় ধরনের একটা বৈষম্য।
তবে আশার কথা এই যে, এবারের বাজেটে সম্ভবত এই বিষয়টার পরিবর্তন হতে চলেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও এখন থেকে চাকুরীজীবনের শুরুতেই ১৬০০০/-টাকা স্কেলে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন। এবং এই বিষয়টা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে অনেক বড় একটা সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।
Leave a Reply