এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বৈষম্যে দুরীকরণের লক্ষ্যে গত ১২ তারিখ থেকে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল “মার্চ টু যমুনা” কর্মসূচীর ঘোষণা করেছে।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার দাবিতে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। সপ্তম দিনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে আগামীকাল দুপুরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মার্চ টু যমুনা পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা এ ঘোষণা দেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। প্রজ্ঞাপন ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীরা ঘরে ফিরবেন না।
এর আগে দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়, সচিবালয়ের রাস্তায় পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। সেখানে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ফের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে ফিরে আসেন।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির। তবে শিক্ষকরা বলছেন আন্দোলনস্থলে এসে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিতে হবে।
এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা অবস্থান নিয়েছেন। আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের প্রেসক্লাবে উপস্থিত থাকা অত্যান্ত জরুরি।
সংগঠনের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী জানান, আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী না, আন্দোলনস্থলে এসে ঘোষণা দিতে হবে, আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার বলেন, আমরা আশাকরি সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে। অন্যথায় কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
শিক্ষকরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না তারা। সরকারকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সব এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে প্রেসক্লাবের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এই আন্দোলনকে সফল করতে এই মুহুর্তে আমাদের সকল শিক্ষক কর্মচারীর উচিত প্রেস ক্লাবের আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য উপস্থিত হওয়া।
Leave a Reply