স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে রোববার থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা বলছেন আন্দোলনে নামা শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে শুক্রবার ঢাকার প্রেস ক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে বলে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, “শুক্রবার সকাল ৯টায় আমরা অবস্থান নেব। তখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।”
প্রেস ক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মত বৃহস্পতিবার দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। জাতীয়করণের পাশাপাশি সরকারি নিয়মে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও উৎসব ভাতা চালুরও দাবি জানাচ্ছেন তারা।
দাবি মেনে না নিলে সারা দেশে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও দাখিল পরীক্ষা বর্জনেরও হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন আন্দোলনে নামা শিক্ষকরা।
দাবিগুলো নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, মঙ্গলবার উপদেষ্টার তরফ থেকে আগামী বাজেটে ভাতা বাড়ানোর আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে জাতীয়করণে সিদ্ধান্ত এই সরকার নিতে পারবে না, ফলে ওই দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্বাচিত সরকারের জন্যই রেখে দেওয়ার কথা বলছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, “আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী না, এখানে (প্রেস ক্লাব) এসে ঘোষণা দিতে হবে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।
“জাতীয়করণ না করলেও সামনের ঈদ থেকেই সরকারি নিয়মে ভাতা আর বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা এখানে এসে দিলে আমরা সরে যাব।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এখন এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।
Leave a Reply