এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ভোগান্তি কমানোর জন্য সরকার মাউশিকে নির্দেশ দেয় যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ইএফটিতে প্রেরণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ধারবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও এর অর্থ ০১ জানুয়ারি ২০২৫ হতে EFT-তে প্রেরণ শুরু হয়েছে। যে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও এর তথ্য, NID এর তথ্য এবং ব্যাংকের তথ্য সঠিক আছে এমন ১,৮৯,৯০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ ইতোমধ্যে ১ম লটে EFT-তে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অনেকের এমপিওশীটের নামের সাথে NID এর নামের ডট (.), হাইফেন (-), কমা (,) বা আক্ষরিক অমিল আছে অথবা ব্যাংক হিসাবের নাম আংশিক ভুল আছে, কিন্তু জন্মতারিখ অভিন্ন এমন ১,৫২,২২০ জন শিক্ষক- কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ ইতোমধ্যে ২য় ও ৩য় লটে EFT-তে প্রেরণ করা হয়েছে। এমপিওশীটের নাম এবং NID এর নাম অভিন্ন কিন্তু জন্মতারিখ একই বছরে তবে অভিন্ন নয় এমন ৮,২৩৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের এমপিও এর অর্থ প্রেরণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং ৮,৮৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই এর জন্য আইবাস++ এ প্রেরণ করা হয়েছে। যারা কিনা ৫ম ধাপে তাদের বেতনের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারাবে।
এখন সবচেয়ে বড় কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য সংশোধন করা। ২য় থেকে ৫ম ধাপে যে সকল শিক্ষক কর্মচারী ইএফটির আওতাভুক্ত হয়েছেন তারা সকলে বর্তমানে বেতন পাচ্ছেন কিন্তু তাদের সকলেরই প্রয়োজনীয় ও নির্দেশিত তথ্য সংশোধন করতে হবে। সেই লক্ষ্যে মাউশি গত ১২/০২/২৫ইং তারিখ সংশোধনের কিছু নীতিমালা ও সময়কাল প্রকাশ করেছেন। যা কিন্তু সকল প্রশ্নের উত্তর দেয় না, যে নির্দেশনা দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে তথ্য সংশোধন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয়। যে কারণে শুরু হয়েছে শিক্ষক কর্মচারীদের ভিতরে নানামুখি জটিলতা।
তবে আশার কথা এই বিশ্বস্ত সুত্রে বরাত দিয়ে জানা গিয়েছে যে, ১২ তারিখের নির্দেশনা সম্পুর্ণ সঠিক হলেও পরিপূর্ণ নির্দেশনা নয়। অর্থাৎ আমি যেটা বলছি সেটা হল এই মাউশির বর্তমান নির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য থাকলেও কোন শিক্ষক কর্মচারীর কি তথ্য সংশোধন করা লাগবে তা কিন্তু জানা যাচ্ছে না। অর্থাৎ প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারীর একক নির্দেশনা এখনও দৃশ্যমান করেনি মাউশি।
তবে সেই নির্দেশনা নিয়ে টেনশনের কোন প্রকার কারণ নেই। অতি দ্রুত মাউশি ২য় থেকে ৫ম ধাপের সকল শিক্ষক কর্মচারীর কার কি তথ্য সংশোধন করা লাগবে তা একেবারে ইনডিভিজ্যুয়ালী প্রতিষ্ঠানের প্যানেলে প্রকাশ করা হবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে।
তাই সংশোধন নিয়ে এত মাথা খারাপ বা টেনশনের কোন কারণ নেই। মাউশির পরিপূর্ণ নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত যদি আমরা নিজে নিজেদের ভুল ধরতে পারি সেই ভুলগুলো সংশোধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যদি ভুল না ধরতে পারি তাহলে ইএফটি প্যানেলে ভুল তথ্যের নির্দেশনা দৃশ্যমান করার জন্য অপেক্ষা করি।
অযথা তাড়াহুড়া করে নিজেরাই হতভম্ভ না হই। মাথা ঠান্ডা করে নিজেদের করণীয় কাজ গুলো শেষ করার চেষ্টা করি। অযথা তাড়াহুড়া করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভুল করলে কিন্তু এবার সংশোধনের সুযোগ পাওয়া যাবে না। আর সঠিক ভাবে সংশোধন করতে পারলে শুধু ইএফটির ক্ষেত্রে লাভবান হওয়া যাবে এমন নয়। এই সংশোধিত তথ্য আপনার চাকুরী জীবনের আগামীর পাথেয় হিসেবে কাজ করবে। আপনার তথ্যগুলো আর ভবিষ্যতে কোন কাজের জন্য সংশোধন করা লাগবে না।
আমি আবারও বলছি আপনার কি কি তথ্য সংশোধন করা লাগবে প্রতিষ্ঠানের ইএফটি প্যানেলে দৃশমান করা হবে। তাই অযথা ভুল নিয়ে টেনশনের কোন কারণ নেই। ভুল তথ্য ভুল ভাবে সংশোধন করার চেয়ে সময় ও সুযোগের জন্য অপেক্ষা করা শ্রেয়তর। সঠিক কাজ সঠিক সময়ে যেমন করতে তেমনি সঠিক ভাবেও করতে হয়।
Leave a Reply